হাদীস গাদীরের সনদ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
("'''প্রশ্ন''': ''': ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে গাদীরের ঘটনা কি সঠিক ও প্রমাণিত?''' হাদীসে গাদীর, শিয়া ও সুন্নি সূত্রে বর্ণিত নির্ভরযোগ্য হাদীসগুলোর অন্যতম; হাদিসে গাদীরের ভিত্তিতে..." দিয়ে পাতা তৈরি) |
Nazarzadeh (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{question}} | |||
ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে গাদীরের ঘটনা কি সঠিক ও প্রমাণিত? | |||
{{question end}} | |||
{{answer}} | |||
হাদীসে গাদীর, শিয়া ও সুন্নি সূত্রে বর্ণিত নির্ভরযোগ্য হাদীসগুলোর অন্যতম; হাদিসে গাদীরের ভিত্তিতে মহানবি (সা.) বিদায় হজ্জ থেকে ফেরার পথে ঐতিহাসিক এক ভাষণ দেন। ভাষণ শেষে হযরত আলীর (আ.) হাত উঁচু করে ধরে বলেন: ‘আমি যার মাওলা (ও অভিভাবক) এই আলীও তার মাওলা (ও অভিভাবক)’। হাদীসটি ১১০ জন সাহাবি, ৮৪ জন তাবেঈ মারফত বর্ণিত হয়েছে। হাদীসটি সঠিক এবং তাওয়াতুর হওয়া প্রসঙ্গে আহলে সুন্নতের প্রসিদ্ধ মনীষীগণের ঐকমত্য রয়েছে। একইভাবে তাদের কেউ কেউ হাদীসটির সনদ প্রমাণ করতে স্বতন্ত্র গ্রন্থও রচনা করেছেন। | হাদীসে গাদীর, শিয়া ও সুন্নি সূত্রে বর্ণিত নির্ভরযোগ্য হাদীসগুলোর অন্যতম; হাদিসে গাদীরের ভিত্তিতে মহানবি (সা.) বিদায় হজ্জ থেকে ফেরার পথে ঐতিহাসিক এক ভাষণ দেন। ভাষণ শেষে হযরত আলীর (আ.) হাত উঁচু করে ধরে বলেন: ‘আমি যার মাওলা (ও অভিভাবক) এই আলীও তার মাওলা (ও অভিভাবক)’। হাদীসটি ১১০ জন সাহাবি, ৮৪ জন তাবেঈ মারফত বর্ণিত হয়েছে। হাদীসটি সঠিক এবং তাওয়াতুর হওয়া প্রসঙ্গে আহলে সুন্নতের প্রসিদ্ধ মনীষীগণের ঐকমত্য রয়েছে। একইভাবে তাদের কেউ কেউ হাদীসটির সনদ প্রমাণ করতে স্বতন্ত্র গ্রন্থও রচনা করেছেন। | ||
২২ নং লাইন: | ২৩ নং লাইন: | ||
ইমামুল হারামাইন জুওয়াইনি রচিত ‘ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ’, | ইমামুল হারামাইন জুওয়াইনি রচিত ‘ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ’, | ||
আবু সাঈদ সুবহানি রচিত ‘আদ-দিরায়াহ ফি হাদিসিল ভেলায়াহ’।[২] | আবু সাঈদ সুবহানি রচিত ‘আদ-দিরায়াহ ফি হাদিসিল ভেলায়াহ’।[২] | ||
{{answer end}} | |||
[[fa:سند حدیث غدیر]] | |||
[[ar:أسانيد الحديث الغدير]] | |||
[[ps:د غدير د حديث سند]] |
১১:০৩, ২৭ মে ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে গাদীরের ঘটনা কি সঠিক ও প্রমাণিত?
হাদীসে গাদীর, শিয়া ও সুন্নি সূত্রে বর্ণিত নির্ভরযোগ্য হাদীসগুলোর অন্যতম; হাদিসে গাদীরের ভিত্তিতে মহানবি (সা.) বিদায় হজ্জ থেকে ফেরার পথে ঐতিহাসিক এক ভাষণ দেন। ভাষণ শেষে হযরত আলীর (আ.) হাত উঁচু করে ধরে বলেন: ‘আমি যার মাওলা (ও অভিভাবক) এই আলীও তার মাওলা (ও অভিভাবক)’। হাদীসটি ১১০ জন সাহাবি, ৮৪ জন তাবেঈ মারফত বর্ণিত হয়েছে। হাদীসটি সঠিক এবং তাওয়াতুর হওয়া প্রসঙ্গে আহলে সুন্নতের প্রসিদ্ধ মনীষীগণের ঐকমত্য রয়েছে। একইভাবে তাদের কেউ কেউ হাদীসটির সনদ প্রমাণ করতে স্বতন্ত্র গ্রন্থও রচনা করেছেন।
গাদীরে খুমের ঘটনা হিজরতের ১০ম বছর, মহানবি (স.) বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত মুসলমানদের একটি বড় দলকে সাথে নিয়ে হজ্জ সম্পন্ন করলেন। বিদায় হজ্জে মহানবির (স.) সাথে হজ্জ সম্পাদনকারী মুসলমানদের সংখ্যা ১ লক্ষ ১৪ হাজার থেকে ১ লক্ষ ২৪ হাজার উল্লেখিত হয়েছে। মদিনা ফেরার পথে গাদীরে খুম নামক স্থানে এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়: ‘হে রাসূল! আপনি পৌঁছে দিন আপনার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে আপনার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে। আর যদি আপনি এরূপ না করেন, তবে আপনি তাঁর পয়গাম কিছুই পৌছালেন না। আল্লাহ্ আপনাকে মানুষের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ কাফেরদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না।’[মায়িদাহ : ৬৭] এ সময় মহানবি (স.) এগিয়ে যাওয়া হাজীদেরকে ফিরে আসার নির্দেশ দিলেন এবং পেছনে থাকা হাজীদের জন্য অপেক্ষা করলেন। অতঃপর যোহরের নামাযান্তে তিনি (স.) ভাষণ দিলেন, ভাষণে মুসলমানদের থেকে বিভিন্ন বিষয়ে স্বীকৃতি গ্রহণের পর এক পর্যায়ে বললেন: ((مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ هَذَا مَوْلَاه)) ‘আমি যার মাওলা (ও অভিভাবক) এই আলীও তার মাওলা (ও অভিভাবক)’। এই ঘোষণার পর ((الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ؛)) ‘আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পরিপূর্ণ করলাম।’[মায়িদাহ : ০৩] আয়াতটি অবতীর্ণ হয়।[১] সাহাবা ও তাবেঈন কর্তৃক হাদীসে গাদীর বর্ণনা মহানবির (স.) ১১০ জন সাহাবী কর্তৃক বর্ণিত হাদীসে গাদীর আহলে সুন্নতের বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য গ্রন্থে উল্লেখিত হয়েছে। তাঁদের কয়েকজন হল: আলী ইবনে আবি তালিব (আ.), ফাতেমা যাহরা (সা. আ.), ইমাম হাসান মুজতাবা (আ.), ইমাম হুসাইন (আ.), আবু বকর ইবনে আব কুহাফা, আবু যুওয়াইব খুওয়াইলাদ, আবু রাফে কিবতি, আবু হুরাইরাহ উসি, উম্মু সালামাহ (নবিপত্নি), আনাস বিন মালিক, যাইদ বিন সাবিত, উমার বিন খাত্তাব।
আহলে সুন্নতের আলেমগণ কর্তৃক হাদীসে গাদীর সমর্থন আহলে সুন্নতের প্রসিদ্ধ আলেমদের অনেকে হাদীসে গাদীর মুতাওয়াতির হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন, যেমন: জালালুদ্দীন সুয়ূতি, আল্লামা মানাউই, আল্লামা আযিযি, ইবনে কাসির দামেশকি ও শেইখ আব্দুল্লাহ শাফেয়ী প্রমুখ।
এ হাদীসটি সহিহ হওয়ার বিষয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সুন্নি আলেম সাক্ষ্য দিয়েছেন, তাদের মাঝে, ইবনে হাজার হাইসামি, হাকিম নিশাবুরি, হালাবি, ইবনে কাসির দামেশকি, তিরমিযি, আলুসি, ইবনে হাজার আসকালানী, ইবনে মাগাযেলি শাফেয়ী, ইবনে আবিল হাদীদ মু’তাযেলি ও শাহাবুদ্দীন কাস্তালানি’র নাম উল্লেখযোগ্য। এছাড়া ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে আহলে সুন্নতের নামী-দামী মনীষীরা হাদীসে গাদীরের সনদ ও সহিহ হওয়া প্রসঙ্গে বিভিন্ন গ্রন্থ প্রণয়ন করেছেন এবং হাদীসটির সহিহ হওয়ার বিষয়টি প্রমাণ করেছেন। মুহাম্মাদ বিন জারির তাবারি রচিত ‘আল-ভেলায়াহ ফি তুরুকি হাদিসিল গাদীর’, হাফেয ইবনে উকদাহ রচিত ‘আল-ভেলায়াহ ফি তুরুকি হাদিসিল গাদীর’, আবু বাকর জাআবি রচিত ‘মান রাওয়া হাদিসু গাদীরি খুম’, ইমামুল হারামাইন জুওয়াইনি রচিত ‘ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ’, আবু সাঈদ সুবহানি রচিত ‘আদ-দিরায়াহ ফি হাদিসিল ভেলায়াহ’।[২]