শয়তানের বন্ধুরা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Nazarzadeh (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
Nazarzadeh (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{question}} | |||
কারা শয়তানের বন্ধু? | |||
{{question end}} | |||
{{answer}} | |||
বিভিন্ন আয়াত ও রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে শয়তানের বন্ধু হল ঐ সকল ব্যক্তিরা যাদের উপর শয়তান আধিপত্ব বিস্তার করে তাদের মন থেকে মহান আল্লাহর স্মরণ মুছে দিয়েছে। শয়তানের বন্ধু হিসেবে যাদের নাম উল্লেখিত হয়েছে তারা হল মুনাফিকগণ, আল্লাহর স্মরণকে যারা ভুলে যায়, যারা অধিক রাগান্বিত হয় এবং অপচয়কারীরা । শুধু মানুষ নয় জ্বীনরাও শয়তানের বন্ধু হতে পারে। | |||
পবিত্র কুরআনে শয়তানের বন্ধু ও সাথীদের নাম ‘শয়তানের গোত্র’ ও ‘শয়তানের দল’ ইত্যাদি শব্দ দ্বারা উল্লেখ করা হয়েছে। | পবিত্র কুরআনে শয়তানের বন্ধু ও সাথীদের নাম ‘শয়তানের গোত্র’ ও ‘শয়তানের দল’ ইত্যাদি শব্দ দ্বারা উল্লেখ করা হয়েছে। | ||
শয়তানের সাথীরা | ==শয়তানের সাথীরা== | ||
বিভিন্ন রেওয়ায়েত ও আয়াতের সাক্ষ্যানুযায়ী শয়তানের বন্ধু ও সাথীরা হল: | বিভিন্ন রেওয়ায়েত ও আয়াতের সাক্ষ্যানুযায়ী শয়তানের বন্ধু ও সাথীরা হল: | ||
আল্লাহর স্মরণকে যারা ভুলে যায়: যারা আল্লাহর স্মরণকে ভুলে যায়, তাদেরকে শয়তানের সহযোগী হিসেবে জ্ঞান করা হয়েছে; কেননা শয়তান তখনই কারো অন্তরে প্রবেশ করতে পারে যখন তার অন্তর থেকে আল্লাহর স্মরণ দূরীভূত হয়।[সূরা মুজাদালাহ : ৯] | আল্লাহর স্মরণকে যারা ভুলে যায়: যারা আল্লাহর স্মরণকে ভুলে যায়, তাদেরকে শয়তানের সহযোগী হিসেবে জ্ঞান করা হয়েছে; কেননা শয়তান তখনই কারো অন্তরে প্রবেশ করতে পারে যখন তার অন্তর থেকে আল্লাহর স্মরণ দূরীভূত হয়।[সূরা মুজাদালাহ : ৯] | ||
অপচয়কারীরা: ((إِنَّ الْمُبَذِّرِینَ کانُواْ إِخْوَانَ الشَّیَاطِینِ))[সূরা ইসরা : ২৭] -এ আয়াতের ভিত্তিতে অপচয়কারীরা হল শয়তানের ভাই। | অপচয়কারীরা: ((إِنَّ الْمُبَذِّرِینَ کانُواْ إِخْوَانَ الشَّیَاطِینِ))[সূরা ইসরা : ২৭] -এ আয়াতের ভিত্তিতে অপচয়কারীরা হল শয়তানের ভাই। | ||
যারা অত্যধিক রাগান্বিত হয়: ‘ক্রোধ’ ও ‘রাগ’কে ইমাম আলী (আ.) শয়তানের সেনাবাহনীর মধ্য থেকে একটি বড় বাহিনী বলে উল্লেখ করেছেন। [নূরী, মুস্তাদরাকুল ওয়াসায়েল, কোম, মুআসসাসাতু আলিল বাইত, ১৪০৮ হি., খণ্ড ১২, পৃ. ১১।] | যারা অত্যধিক রাগান্বিত হয়: ‘ক্রোধ’ ও ‘রাগ’কে ইমাম আলী (আ.) শয়তানের সেনাবাহনীর মধ্য থেকে একটি বড় বাহিনী বলে উল্লেখ করেছেন। [নূরী, মুস্তাদরাকুল ওয়াসায়েল, কোম, মুআসসাসাতু আলিল বাইত, ১৪০৮ হি., খণ্ড ১২, পৃ. ১১।] | ||
মুনাফিক হল যারা বাহ্যিকভাবে মুসলমান হলেও অন্তরে কুফরকে লালন করে। যাদের মুখের সাক্ষ্য এবং অন্তরের সাক্ষ্য এক নয় তাদেরকে মুনাফিক বলা হয়েছে। ইমাম আলী (আ.) মুনাফিকদের শয়তানের দল বলে আখ্যায়িত করেছেন।[অ’মাদি, গুরারুল হিকাম, দাফতারে তাবলিগাত, ১৩৬৬ সৌরবর্ষ, পৃ. ৪৫৮।] | মুনাফিক হল যারা বাহ্যিকভাবে মুসলমান হলেও অন্তরে কুফরকে লালন করে। যাদের মুখের সাক্ষ্য এবং অন্তরের সাক্ষ্য এক নয় তাদেরকে মুনাফিক বলা হয়েছে। ইমাম আলী (আ.) মুনাফিকদের শয়তানের দল বলে আখ্যায়িত করেছেন।[অ’মাদি, গুরারুল হিকাম, দাফতারে তাবলিগাত, ১৩৬৬ সৌরবর্ষ, পৃ. ৪৫৮।] | ||
ইমাম আলীর শত্রুরা: মহানবি (স.) থেকে বর্ণিত এক রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে, ইমাম আলীর (আ.) শত্রুরা হল মুনাফিক এবং শয়তানের ভাই।[আল্লামা মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, মুআসসাসাতু ওয়াফা বাইরুত, ১৪০৪ হি., খণ্ড ৩৭, পৃ. ২১১।] | ইমাম আলীর শত্রুরা: মহানবি (স.) থেকে বর্ণিত এক রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে, ইমাম আলীর (আ.) শত্রুরা হল মুনাফিক এবং শয়তানের ভাই।[আল্লামা মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, মুআসসাসাতু ওয়াফা বাইরুত, ১৪০৪ হি., খণ্ড ৩৭, পৃ. ২১১।] | ||
আহলে বাইতের (আ.) শত্রুরা: আল্লাহর রাসূল (স.) থেকে বর্ণিত এক রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে যা তিনি ইমাম আলীর (আ.) উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, তোমাদের (আহলে বাইতের) শত্রুরা হল শয়তানের দল।[আল্লামা মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ২৩, পৃ. ১৪২] | আহলে বাইতের (আ.) শত্রুরা: আল্লাহর রাসূল (স.) থেকে বর্ণিত এক রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে যা তিনি ইমাম আলীর (আ.) উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, তোমাদের (আহলে বাইতের) শত্রুরা হল শয়তানের দল।[আল্লামা মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ২৩, পৃ. ১৪২] | ||
মুশরিকগণ: সূরা শুআরার ৯৯নং আয়াতের তাফসীরে ইমাম বাকির (আ.) মুশরিকদেরকে শয়তানের অনুসারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।[কুলাইনি, উসুলে কাফী, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যাহ, ১৩৬৫ সৌরবর্ষ, খণ্ড ২, পৃ. ৩১।] | মুশরিকগণ: সূরা শুআরার ৯৯নং আয়াতের তাফসীরে ইমাম বাকির (আ.) মুশরিকদেরকে শয়তানের অনুসারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।[কুলাইনি, উসুলে কাফী, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যাহ, ১৩৬৫ সৌরবর্ষ, খণ্ড ২, পৃ. ৩১।] | ||
অন্য নাম | ==অন্য নাম== | ||
শয়তানের সহযোগীরা হল মানুষ এবং জ্বীন, তারা শয়তানের মূল কাজকে -‘মানুষকে কুমন্ত্রনা’ ও পথভ্রষ্ট করা- অনুসরণ করে। | শয়তানের সহযোগীরা হল মানুষ এবং জ্বীন, তারা শয়তানের মূল কাজকে -‘মানুষকে কুমন্ত্রনা’ ও পথভ্রষ্ট করা- অনুসরণ করে। | ||
পবিত্র কুরআনে ‘শয়তানের বন্ধু/সহযোগী’ শব্দ উল্লেখিত না হলেও এর সমার্থক বোধক শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, যেমন: | পবিত্র কুরআনে ‘শয়তানের বন্ধু/সহযোগী’ শব্দ উল্লেখিত না হলেও এর সমার্থক বোধক শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, যেমন: | ||
শয়তানের দল: সূরা শুআরার ৯৫নং আয়াতে ((وَجُنُودُ إِبْلِیسَ أَجْمَعُون)) (আর ইবলিসের দলবল সকলকে) তাদেরকে শয়তানের দল বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং ইমাম বাকিরের (আ.) থেকে বর্ণিত এক রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে এখানে শয়তানের বংশধরদেরকে বোঝানো হয়েছে।[কুলাইনি, উসুলে কাফী, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যাহ, ১৩৬৫ সৌরবর্ষ, খণ্ড ২, পৃ. ৩১।] | শয়তানের দল: সূরা শুআরার ৯৫নং আয়াতে ((وَجُنُودُ إِبْلِیسَ أَجْمَعُون)) (আর ইবলিসের দলবল সকলকে) তাদেরকে শয়তানের দল বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং ইমাম বাকিরের (আ.) থেকে বর্ণিত এক রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে এখানে শয়তানের বংশধরদেরকে বোঝানো হয়েছে।[কুলাইনি, উসুলে কাফী, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যাহ, ১৩৬৫ সৌরবর্ষ, খণ্ড ২, পৃ. ৩১।] | ||
শয়তানের গোত্র: সূরা আ’রাফের ২৭নং আয়াতে তাদেরকে শয়তানের গোত্র বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। | শয়তানের গোত্র: সূরা আ’রাফের ২৭নং আয়াতে তাদেরকে শয়তানের গোত্র বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। | ||
শয়তানের দল (হিজবুশ শায়তান): হিজবুশ শায়তান বলতে তার অনুসারী এবং তাদেরকে বোঝানো হয়েছে যারা তার পথ অনুসরণ করে, আর পবিত্র কুরআনের ভাষ্যানুযায়ী তার দলের সদস্য হল তারা যারা তার বেলায়াত ও দাসত্বকে গ্রহণ করেছে, [সূরা নাহল : ১০০।] আর যাদের অন্তর থেকে আল্লাহকে স্মরণ মুছে দিয়ে শয়তান কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে।[সূরা মুজাদালাহ : ১৯।] | শয়তানের দল (হিজবুশ শায়তান): হিজবুশ শায়তান বলতে তার অনুসারী এবং তাদেরকে বোঝানো হয়েছে যারা তার পথ অনুসরণ করে, আর পবিত্র কুরআনের ভাষ্যানুযায়ী তার দলের সদস্য হল তারা যারা তার বেলায়াত ও দাসত্বকে গ্রহণ করেছে, [সূরা নাহল : ১০০।] আর যাদের অন্তর থেকে আল্লাহকে স্মরণ মুছে দিয়ে শয়তান কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে।[সূরা মুজাদালাহ : ১৯।] | ||
শয়তানের বন্ধুরা: শয়তানের বন্ধুরা হল, শয়তান যাদের সাথী হয়েছে এবং যাদেরকে সে ভালবাসে। যারা কুফর এক্তিয়ার করেছে[সূরা নিসা : ৭৬।] এবং ঈমান আনে না[সূরা আরাফ : ২৭।] তাদেরকে শয়তানের বন্ধু বলে আখ্যায়িত করেছে। পবিত্র কুরআনের ভাষায়, শয়তান আল্লাহর বন্ধুদেরকে ওয়াসওয়াসা করে যাতে তারা মু’মিনদের সাথে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়।[সূরা আনআম : ১২১।] | শয়তানের বন্ধুরা: শয়তানের বন্ধুরা হল, শয়তান যাদের সাথী হয়েছে এবং যাদেরকে সে ভালবাসে। যারা কুফর এক্তিয়ার করেছে[সূরা নিসা : ৭৬।] এবং ঈমান আনে না[সূরা আরাফ : ২৭।] তাদেরকে শয়তানের বন্ধু বলে আখ্যায়িত করেছে। পবিত্র কুরআনের ভাষায়, শয়তান আল্লাহর বন্ধুদেরকে ওয়াসওয়াসা করে যাতে তারা মু’মিনদের সাথে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়।[সূরা আনআম : ১২১।] | ||
{{answer end}} | |||
[[fa:یاران شیطان]] | [[fa:یاران شیطان]] |
১১:০৮, ২৭ মে ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
কারা শয়তানের বন্ধু?
বিভিন্ন আয়াত ও রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে শয়তানের বন্ধু হল ঐ সকল ব্যক্তিরা যাদের উপর শয়তান আধিপত্ব বিস্তার করে তাদের মন থেকে মহান আল্লাহর স্মরণ মুছে দিয়েছে। শয়তানের বন্ধু হিসেবে যাদের নাম উল্লেখিত হয়েছে তারা হল মুনাফিকগণ, আল্লাহর স্মরণকে যারা ভুলে যায়, যারা অধিক রাগান্বিত হয় এবং অপচয়কারীরা । শুধু মানুষ নয় জ্বীনরাও শয়তানের বন্ধু হতে পারে।
পবিত্র কুরআনে শয়তানের বন্ধু ও সাথীদের নাম ‘শয়তানের গোত্র’ ও ‘শয়তানের দল’ ইত্যাদি শব্দ দ্বারা উল্লেখ করা হয়েছে।
শয়তানের সাথীরা
বিভিন্ন রেওয়ায়েত ও আয়াতের সাক্ষ্যানুযায়ী শয়তানের বন্ধু ও সাথীরা হল:
আল্লাহর স্মরণকে যারা ভুলে যায়: যারা আল্লাহর স্মরণকে ভুলে যায়, তাদেরকে শয়তানের সহযোগী হিসেবে জ্ঞান করা হয়েছে; কেননা শয়তান তখনই কারো অন্তরে প্রবেশ করতে পারে যখন তার অন্তর থেকে আল্লাহর স্মরণ দূরীভূত হয়।[সূরা মুজাদালাহ : ৯]
অপচয়কারীরা: ((إِنَّ الْمُبَذِّرِینَ کانُواْ إِخْوَانَ الشَّیَاطِینِ))[সূরা ইসরা : ২৭] -এ আয়াতের ভিত্তিতে অপচয়কারীরা হল শয়তানের ভাই।
যারা অত্যধিক রাগান্বিত হয়: ‘ক্রোধ’ ও ‘রাগ’কে ইমাম আলী (আ.) শয়তানের সেনাবাহনীর মধ্য থেকে একটি বড় বাহিনী বলে উল্লেখ করেছেন। [নূরী, মুস্তাদরাকুল ওয়াসায়েল, কোম, মুআসসাসাতু আলিল বাইত, ১৪০৮ হি., খণ্ড ১২, পৃ. ১১।]
মুনাফিক হল যারা বাহ্যিকভাবে মুসলমান হলেও অন্তরে কুফরকে লালন করে। যাদের মুখের সাক্ষ্য এবং অন্তরের সাক্ষ্য এক নয় তাদেরকে মুনাফিক বলা হয়েছে। ইমাম আলী (আ.) মুনাফিকদের শয়তানের দল বলে আখ্যায়িত করেছেন।[অ’মাদি, গুরারুল হিকাম, দাফতারে তাবলিগাত, ১৩৬৬ সৌরবর্ষ, পৃ. ৪৫৮।]
ইমাম আলীর শত্রুরা: মহানবি (স.) থেকে বর্ণিত এক রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে, ইমাম আলীর (আ.) শত্রুরা হল মুনাফিক এবং শয়তানের ভাই।[আল্লামা মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, মুআসসাসাতু ওয়াফা বাইরুত, ১৪০৪ হি., খণ্ড ৩৭, পৃ. ২১১।]
আহলে বাইতের (আ.) শত্রুরা: আল্লাহর রাসূল (স.) থেকে বর্ণিত এক রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে যা তিনি ইমাম আলীর (আ.) উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, তোমাদের (আহলে বাইতের) শত্রুরা হল শয়তানের দল।[আল্লামা মাজলিসী, বিহারুল আনওয়ার, খণ্ড ২৩, পৃ. ১৪২]
মুশরিকগণ: সূরা শুআরার ৯৯নং আয়াতের তাফসীরে ইমাম বাকির (আ.) মুশরিকদেরকে শয়তানের অনুসারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।[কুলাইনি, উসুলে কাফী, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যাহ, ১৩৬৫ সৌরবর্ষ, খণ্ড ২, পৃ. ৩১।]
অন্য নাম
শয়তানের সহযোগীরা হল মানুষ এবং জ্বীন, তারা শয়তানের মূল কাজকে -‘মানুষকে কুমন্ত্রনা’ ও পথভ্রষ্ট করা- অনুসরণ করে।
পবিত্র কুরআনে ‘শয়তানের বন্ধু/সহযোগী’ শব্দ উল্লেখিত না হলেও এর সমার্থক বোধক শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে, যেমন:
শয়তানের দল: সূরা শুআরার ৯৫নং আয়াতে ((وَجُنُودُ إِبْلِیسَ أَجْمَعُون)) (আর ইবলিসের দলবল সকলকে) তাদেরকে শয়তানের দল বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে এবং ইমাম বাকিরের (আ.) থেকে বর্ণিত এক রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে এখানে শয়তানের বংশধরদেরকে বোঝানো হয়েছে।[কুলাইনি, উসুলে কাফী, দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যাহ, ১৩৬৫ সৌরবর্ষ, খণ্ড ২, পৃ. ৩১।]
শয়তানের গোত্র: সূরা আ’রাফের ২৭নং আয়াতে তাদেরকে শয়তানের গোত্র বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
শয়তানের দল (হিজবুশ শায়তান): হিজবুশ শায়তান বলতে তার অনুসারী এবং তাদেরকে বোঝানো হয়েছে যারা তার পথ অনুসরণ করে, আর পবিত্র কুরআনের ভাষ্যানুযায়ী তার দলের সদস্য হল তারা যারা তার বেলায়াত ও দাসত্বকে গ্রহণ করেছে, [সূরা নাহল : ১০০।] আর যাদের অন্তর থেকে আল্লাহকে স্মরণ মুছে দিয়ে শয়তান কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে।[সূরা মুজাদালাহ : ১৯।]
শয়তানের বন্ধুরা: শয়তানের বন্ধুরা হল, শয়তান যাদের সাথী হয়েছে এবং যাদেরকে সে ভালবাসে। যারা কুফর এক্তিয়ার করেছে[সূরা নিসা : ৭৬।] এবং ঈমান আনে না[সূরা আরাফ : ২৭।] তাদেরকে শয়তানের বন্ধু বলে আখ্যায়িত করেছে। পবিত্র কুরআনের ভাষায়, শয়তান আল্লাহর বন্ধুদেরকে ওয়াসওয়াসা করে যাতে তারা মু’মিনদের সাথে ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হয়।[সূরা আনআম : ১২১।]