ফাতেমা (সা.)-এর মুসহাফ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
("{{question}} ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফ কোন গ্রন্থটিকে বলে? ঐ গ্রন্থটি কি কুরআনের বোন নামেও প্রসিদ্ধ? {{question end}} {{answer}} ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফ ঐ গ্রন্থটিকে বলা হয়, যা মহানবী (স.)-এর ইন্তেকালে..." দিয়ে পাতা তৈরি) |
|||
৩৫ নং লাইন: | ৩৫ নং লাইন: | ||
কিছু কিছু প্রাচ্যবিদ এবং আহলে সুন্নতের পণ্ডিতগণ, ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফ শিরোনামে মুসহাফ শব্দের উপস্থিতি লক্ষ্য করে এবং এই শব্দটিকে কুরআনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ রেখে শিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, প্রচলিত কুরআন ব্যতীত অপর একটি কুরআন মুসলমানদের নিকট বিদ্যমান।<ref> উমিদি, থামের হাসেম হাবিব, আল-কাফির প্রতিরক্ষা: শেখ আল-কালিনী, কওম, আল-গাদির সেন্টার ফর ইসলামিক স্টাডিজ, ১৪১৫ হি, খন্ড। ২, পৃ.৩৫৩।</ref> এই ব্যক্তিদের মধ্যে উদাহরণস্বরূপ বিশিষ্ট হাঙ্গেরিয়ান ইসলাম গবেষক আগ্নাস গোল্ডজিয়া এবং সৌদি আরবের সালাফি লেখক আব্দুল্লাহ আল কাসিমির কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।<ref> মাহদাভিরাদ, "মুশাফ ফাতিমা (সা)", খন্ড ৩, পৃ.</ref> এই দৃষ্টিভঙ্গির জবাবে কিছু গবেষক দাবি করেছেন যে শিয়া পণ্ডিতগণ এই বিষয়ে একমত যে, কুরআন ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফের অন্তর্ভূক্ত নয়।[৩২] অন্তর্ভূক্ত না হওয়া সংক্রান্ত তাদের মতের দলিল হচ্ছে ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফ সম্পর্কে শিয়া ইমামগণ হতে বর্ণিত অনেক সংখ্যক রেওয়ায়েত এবং তাদের ঐক্যমতের পাশাপাশি এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে উল্লেখিত হয়েছে যে, কুরআন হযরত ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফের অন্তর্ভূক্ত নয়।<ref>সাফার কওমি, বাসাইর আল-দরাজ মুহাম্মাদ পরিবারের গুণাবলীতে, তাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, পৃষ্ঠা ১৭০। কিলিনি, মোহাম্মাদ, আল-কাফী, ভলিউম ১, পৃ. ৫৯৫।</ref> | কিছু কিছু প্রাচ্যবিদ এবং আহলে সুন্নতের পণ্ডিতগণ, ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফ শিরোনামে মুসহাফ শব্দের উপস্থিতি লক্ষ্য করে এবং এই শব্দটিকে কুরআনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ রেখে শিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, প্রচলিত কুরআন ব্যতীত অপর একটি কুরআন মুসলমানদের নিকট বিদ্যমান।<ref> উমিদি, থামের হাসেম হাবিব, আল-কাফির প্রতিরক্ষা: শেখ আল-কালিনী, কওম, আল-গাদির সেন্টার ফর ইসলামিক স্টাডিজ, ১৪১৫ হি, খন্ড। ২, পৃ.৩৫৩।</ref> এই ব্যক্তিদের মধ্যে উদাহরণস্বরূপ বিশিষ্ট হাঙ্গেরিয়ান ইসলাম গবেষক আগ্নাস গোল্ডজিয়া এবং সৌদি আরবের সালাফি লেখক আব্দুল্লাহ আল কাসিমির কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।<ref> মাহদাভিরাদ, "মুশাফ ফাতিমা (সা)", খন্ড ৩, পৃ.</ref> এই দৃষ্টিভঙ্গির জবাবে কিছু গবেষক দাবি করেছেন যে শিয়া পণ্ডিতগণ এই বিষয়ে একমত যে, কুরআন ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফের অন্তর্ভূক্ত নয়।[৩২] অন্তর্ভূক্ত না হওয়া সংক্রান্ত তাদের মতের দলিল হচ্ছে ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফ সম্পর্কে শিয়া ইমামগণ হতে বর্ণিত অনেক সংখ্যক রেওয়ায়েত এবং তাদের ঐক্যমতের পাশাপাশি এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে উল্লেখিত হয়েছে যে, কুরআন হযরত ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফের অন্তর্ভূক্ত নয়।<ref>সাফার কওমি, বাসাইর আল-দরাজ মুহাম্মাদ পরিবারের গুণাবলীতে, তাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, পৃষ্ঠা ১৭০। কিলিনি, মোহাম্মাদ, আল-কাফী, ভলিউম ১, পৃ. ৫৯৫।</ref> | ||
== তথ্যসূত্র == | == তথ্যসূত্র == | ||
[[fa: مصحف فاطمه(س)]] | |||
[[ur: مصحف فاطمہ (س)]] | |||
[[en: The Book of Fatimah (Mushaf of Fatimah)]] | |||
[[ru: Мусхаф Фатимы (а)]] | |||
[[ms: Mushaf Fatimah Sa]] | |||
[[ar: مصحف فاطمة (ع)]] |
০০:৫১, ২১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফ কোন গ্রন্থটিকে বলে? ঐ গ্রন্থটি কি কুরআনের বোন নামেও প্রসিদ্ধ?
ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফ ঐ গ্রন্থটিকে বলা হয়, যা মহানবী (স.)-এর ইন্তেকালের পর স্বয়ং জিব্রাইল (আ.) হযরত ফাতেমা (সা.আ.)-কে বলেছেন এবং ইমাম আলী (আ.) সেটি লিখেছেন। রেওয়ায়েত অনুসারে, আসলে এরূপ একটি গ্রন্থের অস্তিত্ব সম্পর্কে কোন ধরনের সন্দেহের অবতারণা করা হয় নি।
ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফ এর অস্তিত্ব সম্পর্কে রেওয়ায়েতসমূহ বাসায়েরুদ দারাজাত এবং আল-কাফি’র ন্যায় প্রাচীনতম শিয়া গ্রন্থগুলোতে উল্লেখিত হয়েছে। সূত্রগুলির ভিত্তিতে, ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফ কারও হাতেই পৌঁছায়নি এবং কেবলমাত্র বংশ পরম্পরায় শিয়া ইমামগণের (আ.) নিকট সংরক্ষিত রয়েছে। এই মুসহাফ তথা গ্রন্থ সম্পর্কে সর্বাধিক সংখ্যক রেওয়ায়েত আল্লামা মাজলিসী আহলে বাইত (আ.)-এর জ্ঞান সংশ্লিষ্ট অধ্যায়সমূহে নিয়ে এসেছেন।
এই মুসহাফের বিষয়বস্তুতে ভবিষ্যতের ঘটনাসমূহ এবং হযরত ফাতেমা (সা.আ.)-এর সন্তানগণের বিধিলিপি সম্পর্কিত বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। এরূপ একটি মুসহাফ শিয়া পরিচিতির ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে। ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফ সম্পর্কিত কিছু কিছু রেওয়ায়েতের মধ্যে বিষয়বস্তুগত মতপার্থক্য এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বাহ্যিকভাবে সাংঘর্ষিক হওয়ার কারণে এই মুসহাফের বিস্তারিত বিষয়াবলী সম্পর্কে গবেষকগণের রায়গুলো একই ধরনের নয়। এই গ্রন্থকে কুরআনের বোন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে-এই সংক্রান্ত কোন তথ্য গ্রহণযোগ্য সূত্রগুলোতে নেই।
পরিচয় এবং বৈশিষ্ট্য
আহলে বাইত (আ.)-এর রেওয়ায়েতসমূহে ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত ফাতেমা (সা.আ.)-এর উপর ইলহাম হয়েছে।[১] এই রেওয়ায়েতগুলোর মধ্যে কিছু কিছুর সনদগুলো সহিহ। এই কারণে, এরূপ একটি গ্রন্থের প্রকৃত অস্তিত্ব সম্পর্কে কোন সন্দেহের অবতারণা করা হয় নি।[২] যেমন সহিহ রেওয়ায়েতের মধ্যে ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফ সম্পর্কে একজন শিয়া ব্যক্তির করা প্রশ্নের উত্তরে ইমাম জাফর সাদিক (আ.) হতে বর্ণিত একটি রেওয়ায়েত রয়েছে। এই বর্ণনায় উক্ত মুসহাফ সম্পর্কে বিস্তারিত, যেমন রসূল (সা.)-এর ইন্তেকালের পর হযরত ফাতেমা (সা.আ.)-এর জীবনের শেষ ৭৫ দিনে এটি লেখা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।[৩] হযরত ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফের অস্তিত্ব সংক্রান্ত রেওয়ায়েতগুলো বাসায়েরুদ দারাজাত[৪] এবং আল-কাফির[৫] ন্যায় প্রাচীনতম শিয়া গ্রন্থগুলোতে এসেছে। এই মুসহাফ তথা গ্রন্থ সম্পর্কে সর্বাধিক সংখ্যক রেওয়ায়েত আল্লামা মাজলিসী আহলে বাইত (আ.)-এর জ্ঞান সংশ্লিষ্ট অধ্যায়সমূহে নিয়ে এসেছেন।[৬]
আহলে বাইতের (আ.) রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে, ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফ কারও হাতেই পৌঁছায়নি এবং কেবলমাত্র বংশ পরম্পরায় শিয়া ইমামগণের (আ.) নিকট সংরক্ষিত রয়েছে।[৭] কোন কোন রেওয়ায়েতে এই মুসহাফের আকার কুরআনের তিন গুন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।[৮] শিয়া শিক্ষা-দীক্ষায় এরূপ একটি মুসহাফের অস্তিত্বের ব্যবহার করা হয়েছে।[৯]
ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফ সম্পর্কিত কিছু কিছু রেওয়ায়েতের মধ্যে বিষয়বস্তুগত মতপার্থক্য এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বাহ্যিকভাবে সাংঘর্ষিক হওয়ার কারণে এই মুসহাফের বিস্তারিত বিষয়াবলী সম্পর্কে গবেষকগণের রায়গুলো একই ধরনের নয়।[১০]
বর্ণনাকারী এবং লেখক
ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফ এমলাকারী (লেখানোর জন্য শব্দ করে পাঠ করা) সম্পর্কে রেওয়ায়েতসমূহে বিভিন্ন জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে; আল্লাহ, ফেরেস্তা, জিব্রাইল এবং রাসূলুল্লাহর (স.) ন্যায় ব্যক্তিদের কথা রেওয়ায়েতে উল্লেখ করা হয়েছে।[১১] আল্লামা মাজলিসী এই সম্পর্কিত রেওয়ায়েতগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন করেছেন। কিছু কিছু গবেষক এটিকে এই বর্ণনাগুলোর মধ্যে সর্বোত্তম সমন্বয় বলে মনে করেছেন।[১২] তিনি এই রেওয়ায়েতগুলোতে রাসূলুল্লাহ (স.) বলতে সেই জিব্রাইল জ্ঞান করেছেন।[১৩] অন্যন্য পণ্ডিতগণ যেমন, সাইয়্যেদ মুহসিন আমিন আমেলি, সাইয়্যেদ জাফর মুর্তাযা এবং সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন ফজলুল্লাহ[১৪] এই রেওয়ায়েতগুলো[১৫] সমন্বয়ের একটি উপায় প্রকাশ করেছিলেন।[১৬][১৭] সকল শিয়া পণ্ডিত এবং এই মুসহাফ সংশ্লিষ্ট সকল রেওয়ায়েতগুলো এই মুসহাফের লেখক হিসেবে ইমাম আলী (আ.)-কে পরিচয় করিয়েছেন।[১৮]
বিষয়বস্তু
ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফে নিম্নোক্ত বিষয়বস্তুগুলো রয়েছে বলে মনে করা হয়:
- রাসূল (স.)-এর অবস্থান এবং হযরত ফাতেমার (সা.আ.) সন্তানদের ভবিষ্যত।[১৯]
- ভবিষ্যত ঘটনাসমূহের বর্ণনা।[২০]
- আল্লাহর নবীগণ (আ.) এবং তাঁদের নাম ও তাঁদের উত্তরসূরীদের নামের উল্লেখ।[২১]
- ক্বিয়ামত পর্যন্ত সমস্ত রাজা-বাদশাহগণ এবং বিচারকদের (হাকিম) নাম।[২২]
- শিয়া পণ্ডিত আব্দুল হুসাইন শারফুদ্দীন এই মুসহাফে অন্যান্য বিষয়বস্তু যেমন, প্রজ্ঞা, উপদেশ ও বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করার প্রতি ইশারা করেছেন।[২৩] এই দৃষ্টিভঙ্গি কিছু কিছু গবেষক মারফত প্রত্যাখ্যাত হয়েছে।[২৪]
- অন্য কিছু গবেষক একটি রেওয়ায়েতের উদ্ধৃতি দিয়ে[২৫] যেখানে শরীয়তী আহকামের বিস্তারিত বিবরণ সংবলিত ’কিতাব-এ ফাতেমা (সা.আ.)’ শিরোনামের একটি গ্রন্থের কথা বলা হয়েছে।} উল্লেখ করেছেন যে, এই মুসহাফে শরীয়তের সমস্ত আহকামের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা এবং শাস্তি সংক্রান্ত বিধিগুলোর বিস্তারিত বিবরণও রয়েছে।[২৬] সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন ফাযলুল্লাহ এই মতকে গ্রহণ করেছেন এবং ফাতেমার (সা.আ.) গ্রন্থ এবং ফাতেমার (সা.আ.) মুসহাফকে একই গ্রন্থ বলে বিবেচনা করেছেন।[২৭] গবেষকদের একটি দল এই মতকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।[২৮] এছাড়াও তারা এই সম্ভাবনা দিয়েছেন যে, কিতাব-এ ফাতেমা (সা.আ.) হচ্ছে মুসহাফ-এ ফাতেমা (সা.আ.) ছাড়াও ভিন্ন একটি গ্রন্থ এবং কিতাব-এ ফাতেমা (সা.আ.) শিরোনামের গ্রন্থটির ফাতেমার উদ্দেশ্য ফাতেমা বিনতুল হুসাইন হতে পারে।[২৯]
- বিশিষ্ট শিয়া গবেষক এবং প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটির ইসলামী আইনের অধ্যাপক সাইয়্যেদ হুসাইন তাবাতাবায়ী, ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফকে এমন বিষয়বস্তুগুলোর ধারক হিসেবে বিবেচনা করেছেন যে, শিয়াদের আধ্যাত্মিক চিন্তাধারার প্রায় সকল বিষয় তাতে উল্লেখিত হয়েছে।[৩০] তার এই মতটি সমালোচনার শিকার হয়েছে।[৩১] এই গ্রন্থকে কুরআনের বোন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে-এই সংক্রান্ত কোন তথ্য গ্রহণযোগ্য সূত্রগুলোতে নেই।
মুসহাফ সম্পর্কে ভূল ধারণাসমূহ
কিছু কিছু প্রাচ্যবিদ এবং আহলে সুন্নতের পণ্ডিতগণ, ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফ শিরোনামে মুসহাফ শব্দের উপস্থিতি লক্ষ্য করে এবং এই শব্দটিকে কুরআনের ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধ রেখে শিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, প্রচলিত কুরআন ব্যতীত অপর একটি কুরআন মুসলমানদের নিকট বিদ্যমান।[৩২] এই ব্যক্তিদের মধ্যে উদাহরণস্বরূপ বিশিষ্ট হাঙ্গেরিয়ান ইসলাম গবেষক আগ্নাস গোল্ডজিয়া এবং সৌদি আরবের সালাফি লেখক আব্দুল্লাহ আল কাসিমির কথা উল্লেখ করা যেতে পারে।[৩৩] এই দৃষ্টিভঙ্গির জবাবে কিছু গবেষক দাবি করেছেন যে শিয়া পণ্ডিতগণ এই বিষয়ে একমত যে, কুরআন ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফের অন্তর্ভূক্ত নয়।[৩২] অন্তর্ভূক্ত না হওয়া সংক্রান্ত তাদের মতের দলিল হচ্ছে ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফ সম্পর্কে শিয়া ইমামগণ হতে বর্ণিত অনেক সংখ্যক রেওয়ায়েত এবং তাদের ঐক্যমতের পাশাপাশি এ সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে উল্লেখিত হয়েছে যে, কুরআন হযরত ফাতেমা (সা.আ.)-এর মুসহাফের অন্তর্ভূক্ত নয়।[৩৪]
তথ্যসূত্র
- ↑ মাহদাভিরাদ, মোহাম্মদ আলী, "মুশাফ ফাতেমেহ (সাঃ)", ফাতিমি এনসাইক্লোপিডিয়া, আলী আকবর রাশাদের তত্ত্বাবধানে, তেহরান, ইসলামিক কালচার অ্যান্ড থট রিসার্চ ইনস্টিটিউট পাবলিকেশন্স, ২০১৪, ভলিউম ৩, পৃ.
- ↑ মাহদাভিরাদ, মোহাম্মদ আলী, "মুশাফ ফাতেমেহ (সাঃ)", ফাতিমি এনসাইক্লোপিডিয়া, আলী আকবর রাশাদের তত্ত্বাবধানে, তেহরান, ইসলামিক কালচার অ্যান্ড থট রিসার্চ ইনস্টিটিউট পাবলিকেশন্স, ২০১৪, ভলিউম ৩, পৃ.
- ↑ কিলিনী, মুহাম্মাদ বিন ইয়াকুব, আল-কাফী, কওম, দার আল-হাদিস, ১৪২৯ হি, খণ্ড ১, পৃ. ৫৯৯-৬০০।
- ↑ সাফার কওমি, মুহাম্মাদ বিন আল-হাসান, বাসাইর আল-দাররাজ ফী ফাদহেল আল-মুহাম্মাদ শান্তি বর্ষিত হোক, গবেষণা: মোহসেন বিন আব্বাস আলী কুচে বাঘি, কওম, আয়াতুল্লাহ আল-মারাশি আল-নাজাফির স্কুল, ১৪০৪ হি, পৃ. ১৭০ -১৮১।
- ↑ আলকালিনী, আল-কাফি, ভলিউম ১, পৃ. ৫৯২-৬০২।
- ↑ মাজলেসি, মোহাম্মদ বাকের, বিহার আল-আনওয়ার আল-জামা নেতা আখবার আল-আইমা আল-আথার, বৈরুত, আল-ওয়াফা ফাউন্ডেশন, ১৪০৩ হি, খণ্ড ২৬, পৃ.৪৯।
- ↑ কিলিনী, মুহাম্মাদ বিন ইয়াকুব, আল-কাফি, কওম, দার আল-হাদিস, ১৪২৯ হি, ১, পৃ.
- ↑ কিলিনী, মুহাম্মাদ বিন ইয়াকুব, আল-কাফি, কওম, দার আল-হাদিস, ১৪২৯ হি, ১, পৃ.
- ↑ মাদ্রাসি তাবাতাবাই, হোসাইন, শিয়া লিখিত ঐতিহ্য, কওম, ঐতিহাসিক প্রকাশনা, ২০০০৬, পৃ.
- ↑ মাহদাভিরাদ, "মুশাফ ফাতিমা (সা.)", ভলিউম ৩, পৃ. ৬৫।
- ↑ মাহদাভিরাদ, "মুশাফ ফাতিমা (সা.)", ভলিউম ৩, পৃ. ৬৫।
- ↑ মাহদাভিরাদ, "মুশাফ ফাতিমা (সাঃ)", খন্ড ৩, পৃ.
- ↑ মজলিসি, মোহাম্মদ বাকের, বিহার আল-আনওয়ার আল-জামা নেতা আখবার আল-আইমা আল-আথার, ২৬, পৃ.
- ↑ আমিন, মোহসেন, আয়ান আল-শিয়া, বৈরুত, প্রকাশনার জন্য দার আল-তারিফ, ১৪০৩ হি, খণ্ড ১, পৃ. ৩৫৭।
- ↑ আমেলি, জাফর মোর্তেজা, আল-জাহরার ট্র্যাজেডি। ... সন্দেহ ও প্রতিক্রিয়া, বৈরুত, দার আল-সিরাহ, ১৪১৮ হি, ১১৬।
- ↑ হাশেমী, হাশেম, ফজলুল্লাহ হাও আল-জাহরা (সাঃ) এর সাথে কথোপকথন, বৈরুত, দার আল-হাদী, ১৪২২ হি, পৃ. ১৫১।
- ↑ হাশেমী, হাশেম, ফজলুল্লাহ হাও আল-জাহরা (সাঃ) এর সাথে কথোপকথন, বৈরুত, দার আল-হাদী, ১৪২২ হি, পৃ. ১৫১।f
- ↑ মাহদাভিরাদ, "মুশাফ ফাতিমা (সাঃ)", খন্ড ৩, পৃ.
- ↑ আল-সাফফার আল-কামি, বাসাইর আল-দাররাজ ফি ফাদহেল আল-মুহাম্মাদ, তাদের উপর আল্লাহর শান্তি ও বরকত, পৃষ্ঠা ১৭৪।
- ↑ আল-ফাতাল আল-নিসাবুরি, মুহাম্মাদ বিন আহমদ, রওদা আল-ওয়াযযিন এবং বাসিরা আল-মুতাযিন, কওম, মানশুরাত আল-রাযী, ১৩৭৫, ১, পৃ.
- ↑ মাজলেসি, মোহাম্মদ বাকির, বিহার আল-আনওয়ার আল-জামা নেতা আখবার আল-আইমা আল-আথার, ২৬, পৃ.
- ↑ আল-ফাতাল আল-নিসাবুরি, রওদাত আল-ওয়ায়েজিন এবং বাসিরা আল-মুতা'ইজিন, ভলিউম ১, পৃ.
- ↑ শরফ আল-দীন, আবদুল-হোসেইন, আল-রাভিদ, কওম, আল-মাজমা আল-আলামী লাহল আল-বাইত (আ.), ১৪২৬, পৃ. ৬০৩।
- ↑ হাশেমি, আল-জাহরাকে ঘিরে ফজলুল্লাহর সাথে কথোপকথন (পৃ. ১৭২)। কিলিনি, আল-কাফি, ভলিউম 7, পৃ. ৩৭-৪১।
- ↑ কাজভিনি, মোহাম্মদ কাজেম, ফাতিমা আল-জাহরা। মান আল-মাহদ আল-লাহদ, বিজা, বিনা, বিতা, পৃষ্ঠা ৯৬।
- ↑ হাশেমি, আল-জাহরাকে ঘিরে ফজলুল্লাহর সাথে কথোপকথন (পৃ. ১৬৭)।
- ↑ আমিন, মোহসেন, আয়ান আল-শিয়া, ভলিউম ১, পৃ. ৩৫৬।
- ↑ হাশেমি, আল-জাহরাকে ঘিরে ফজলুল্লাহর সাথে কথোপকথন (পৃ. ১৮১)।
- ↑ মাদ্রাসি তাবাতাবাই, শিয়া লিখিত ঐতিহ্য, পৃ.
- ↑ মাহদাভিরাদ, "মুশাফ ফাতিমা (সাঃ)", খন্ড ৩, পৃ.
- ↑ গোল্ডজিহার, ইগনাস, মুসলমানদের মধ্যে তাফসির প্রবণতা, সাইয়্যেদ মোহাম্মদ আলী আয়াজির ভূমিকা, সৈয়দ নাসের তাবাতাবাই দ্বারা অনুবাদ, তেহরান, কাকনোস পাবলিকেশন্স, ২০০৩, পৃ. ২৫৬-২৫৭।
- ↑ উমিদি, থামের হাসেম হাবিব, আল-কাফির প্রতিরক্ষা: শেখ আল-কালিনী, কওম, আল-গাদির সেন্টার ফর ইসলামিক স্টাডিজ, ১৪১৫ হি, খন্ড। ২, পৃ.৩৫৩।
- ↑ মাহদাভিরাদ, "মুশাফ ফাতিমা (সা)", খন্ড ৩, পৃ.
- ↑ সাফার কওমি, বাসাইর আল-দরাজ মুহাম্মাদ পরিবারের গুণাবলীতে, তাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, পৃষ্ঠা ১৭০। কিলিনি, মোহাম্মাদ, আল-কাফী, ভলিউম ১, পৃ. ৫৯৫।