হযরত ঈসার (আ.) উসিলায় দোয়া করা

প্রশ্ন:

:হযরত ঈসার (আ.) উসিলায় কি দোয়া করা যাবে?

তাওয়াসসুল হল ‘কোন (পবিত্র) বস্তু বা ব্যক্তির উসিলা দিয়ে মহান আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করা’; ঐ প্রার্থনা প্রতিপালকের নৈকট্য লাভের আশায় হতে পারে, আবার কোন চাওয়া পূরণেও হতে পারে। আল্লাহর নবিগণ (আ.) হলেন মহান আল্লাহর নিকট বিশেষ সম্মানের অধিকারী ব্যক্তিগণের অন্যতম, তাই তাদের উসিলা দিয়ে মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা সম্ভব। অতএব, যেহেতু হযরত ঈসা (আ.) আল্লাহর একজন নবি এবং তাঁর সালেহ বান্দাগণের একজন তাই তার উসিলায় মহান আল্লাহকে ডাকা বা আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনা করা চাওয়া জায়েয। তাওয়াসসুলের ক্ষেত্রে মুসলমানরা প্রার্থনা পূরণকারী হিসেবে একমাত্র মহান আল্লাহকেই জানে। আল্লাহর ওলিদের নিকট তাওয়াসসুলকারী মুসলমানদের চাওয়া শুধু এতটুকুই যে, তাঁরা যেন তাদের প্রার্থনা পূরণে মহান আল্লাহর নিকট সুপারিশ করেন। অতএব, কারো নিকট দোয়া চাওয়া এই অর্থে নয় যে, দোয়া কবুল হওয়ার বিষয়ে আল্লাহ ব্যতীত তাদের হাত রয়েছে বরং এ বিষয়ের স্বীকারোক্তি যে, প্রার্থনা পূরণকারী একমাত্র সত্তা হলেন মহান আল্লাহ সুবহানু ওয়া তায়ালা। [মাকারেম শিরাজি, নাসের ও সহযোগীরা, তাফসীরে নেমুনেহ, এন্তেশারাতে দারুল কুতুবিল ইসলামিয়্যাহ, তেহরান, খণ্ড ৪, পৃ. ৩৬৫-৩৭০; রুহানি, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ কাযেম, শাফাআত ওয়া তাওয়াসসুল, নাশরে মাআরেফ, কোম, ১৩৮৩ সৌরবর্ষ, পৃ. ৬২।] সূরা মায়িদাহ’র ৩৫নং আয়াতে এসেছে: ((یَا أَیُّهَا الَّذِینَ آمَنُواْ اتَّقُواْ اللّهَ وَابْتَغُواْ إِلَیهِ الْوَسِیلَه)) ‘হে ঈমানদারগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং তার দিকে উসিলা অন্বেষণ করো...।’[রুহানি, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ কাযেম, শাফাআত ওয়া তাওয়াসসুল, নাশরে মাআরেফ, কোম, ১৩৮৩ সৌরবর্ষ, পৃ. ৫০।] যেহেতু আয়াতে ‘ওয়াসিলা’ শব্দটিতে কোন শর্তারোপ করা হয়নি তাই মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সহায়তাকারীর ভূমিকা পালন করতে পারে এমন সবকিছু এর শামিল হতে পারে। গ্রন্থসূত্র