মহানবির (স.) উপর দরুদ পড়ার উপকারিতা
মহানবি (স.) ও তাঁর বংশধরের উপর দরুদ পাঠের উপকারিতা কি, আমাদের দরুদের কোন প্রয়োজন কি তাঁদের রয়েছে?
মুহাম্মাদ (স.) ও তাঁর আল তথা বংশধরদের জন্য মহান প্রতিপালকের রহমত কামনা করা হল সালাওয়াত বা দরুদ। মূলতঃ সালাওয়াত হল ঐ মহান ব্যক্তিত্বদের জন্য উচ্চতর মাকাম কামনা করা; কেননা তাঁরা প্রতিটি মুহূর্তে অধিক পূর্ণতার দিকে ধাবমান। মহানবি (স.) বলেছেন: ‘হে আল্লাহ আমার জ্ঞানকে বৃদ্ধি করে দাও’। সূরা মারিয়ামের ৭৬ নং আয়াতে বলা হয়েছে, হে আল্লাহ হেদায়েত প্রাপ্তদের হেদায়েতকে বৃদ্ধি করে দাও।[মুতাহারী, মুর্তাজা, ইনসানে কামেল, তেহরান, এন্তেশারাতে সাদরা, ১১তম সংস্করণ, ১৩৭৩ সৌরবর্ষ, পৃ. ৩৪৬; মাকারেম শিরাজি, নাসের, তাফসীরে নেমুনেহ, তেহরান, এন্তেশারাতে দারুল কুতবিল ইসলামিয়্যাহ, ২৫তম সংস্করণ, ১৩৬৯ সৌরবর্ষ, খণ্ড ১, পৃ. ৪৭; জাওয়াদি আমোলী, আব্দুল্লাহ, আদাবে ফানায়ে মোকাররেবান, কোম, মারকাজে নাশরে ইসরা, ১৩৮১ সৌরবর্ষ, পৃ ৮৯।]
দরুদ পাঠের উপকারিতা দরুদ পাঠে স্বয়ং দরুদ প্রেরণকারীর জন্যে রয়েছে বিভিন্ন উপকারিতা:
- দরুদ পাঠকারীর জন্য ফেরেশতারা সালাওয়াত ও সালাম পাঠায় এবং তার জন্য ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করে।
- মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের কারণ হয়।
- মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়।
- মহানবির (স.) ঘনিষ্টতা অর্জিত হয়।
- গুনাহসমূহের কাফফারা হয়।
- দোয়া কবুল হয়।
- নেফাক ও কপটা দূর হয়।
- আমল পরিশুদ্ধ হয়।
- মহান প্রতিপালকের রহমত অবতীর্ণ হয়।
সৎকর্ম অধিক ভারী হওয়ার কারণ হয়।[আল-হুসাইনি আরদেকানী, আহমাদ বিন মুহাম্মাদ, শারহ ওয়া ফাযায়েলে সালাওয়াত, তেহরান, এন্তেশারাতে মীকাত, ৪র্থ সংস্করণ, ১৩৭৫ সৌরবর্ষ, পৃ. ৪৫। ]
তথ্যসূত্র