আহলে বাইত (আ.)-এর সাথে ওয়াহাবীদের শত্রুতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

২৪ নং লাইন: ২৪ নং লাইন:
[[ইমাম হুসাইন (আ.)]] সম্পর্কে বর্তমান কালের ওয়াহাবী মুফতি আব্দুল আজিজ আল-শাইখের  দৃষ্টিভঙ্গি ইবনে তায়মিয়া ও অন্যান্য প্রাক্তন ওয়াহাবী নেতাদের চেয়েও বেশি চরমপন্থী ও নেতিবাচক। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ওয়াহাবী মতাদর্শের সর্বোচ্চ মুফতি আল-শাইখ, ওয়াহাবীদের হৃদয়ের কথাটির উন্মোচন করেছেন এবং অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও খোলাখুলিভাবে [[ইয়াজিদ]]কে সঠিক ও ইমাম হুসাইন (আ.)-কে ভ্রান্ত বলে দাবি করেছেন।
[[ইমাম হুসাইন (আ.)]] সম্পর্কে বর্তমান কালের ওয়াহাবী মুফতি আব্দুল আজিজ আল-শাইখের  দৃষ্টিভঙ্গি ইবনে তায়মিয়া ও অন্যান্য প্রাক্তন ওয়াহাবী নেতাদের চেয়েও বেশি চরমপন্থী ও নেতিবাচক। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ওয়াহাবী মতাদর্শের সর্বোচ্চ মুফতি আল-শাইখ, ওয়াহাবীদের হৃদয়ের কথাটির উন্মোচন করেছেন এবং অত্যন্ত সুস্পষ্ট ও খোলাখুলিভাবে [[ইয়াজিদ]]কে সঠিক ও ইমাম হুসাইন (আ.)-কে ভ্রান্ত বলে দাবি করেছেন।


সৌদি আরবের "আল-মাজদ" স্যাটেলাইট চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে এক মহিলার প্রশ্নের জবাবে ইয়াজিদ ও ইমাম হুসাইন (আ.)- এর ক্বিয়াম তথা বিদ্রোহ সম্পর্কে আল-শাইখ যা বলেছেন, তার সারসংক্ষেপ হচ্ছে- ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়ার বাইয়াত (আনুগত্যের শপথ) একটি শরীয়তসম্মত বাইয়াত যা তার পিতা মুয়াবিয়ার সময়ে জনগণের নিকট থেকে গ্রহণ করা হয়েছিল এবং মানুষ তাতে সম্মতী প্রদান করেছিল। কিন্তু যখন মুয়াবিয়া মৃত্যুবরণ করেন, তখন হুসাইন ইবনে আলী ও ইবনে যুবায়ের ইয়াজিদের নিকট বাইয়াত করতে অস্বীকার করেন। ফলে হুসাইন ও ইবনে যুবায়ের বাইয়াত না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল করেছেন। আর হুসাইন অন্যের উপদেশের প্রতি কর্ণপাত করেন নি এবং কল্যাণের বিপরীত কাজ করেছেন, আর আল্লাহ যা নির্ধারণ করেছিলেন, তাই হয়েছে। তিনি আরও বলেন, "হুসাইন যে ভুল করুক না কেন, তা তার নিজের জন্যই করেছেন!!... যাই হোক, ইয়াজিদের বিরুদ্ধে হুসাইনের ক্বিয়াম ও বিদ্রোহ হারাম ছিল!!... এ কাজ না করাই ছিল তার জন্য উত্তম। মদীনায় থাকা এবং মানুষের সমষ্টিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলাই উত্তম ও বেশি উপযুক্ত ছিল। খিলাফতের সীমানা লঙ্ঘন করা জায়েজ ছিল না। তবে, এতদ্বসত্ত্বেও আমরা হুসাইনের জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করি এবং তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করি!!" [৯]
সৌদি আরবের "আল-মাজদ" স্যাটেলাইট চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত এক অনুষ্ঠানে এক মহিলার প্রশ্নের জবাবে ইয়াজিদ ও ইমাম হুসাইন (আ.)- এর ক্বিয়াম তথা বিদ্রোহ সম্পর্কে আল-শাইখ যা বলেছেন, তার সারসংক্ষেপ হচ্ছে- ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়ার বাইয়াত (আনুগত্যের শপথ) একটি শরীয়তসম্মত বাইয়াত যা তার পিতা মুয়াবিয়ার সময়ে জনগণের নিকট থেকে গ্রহণ করা হয়েছিল এবং মানুষ তাতে সম্মতী প্রদান করেছিল। কিন্তু যখন মুয়াবিয়া মৃত্যুবরণ করেন, তখন হুসাইন ইবনে আলী ও ইবনে যুবায়ের ইয়াজিদের নিকট বাইয়াত করতে অস্বীকার করেন। ফলে হুসাইন ও ইবনে যুবায়ের বাইয়াত না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল করেছেন। আর হুসাইন অন্যের উপদেশের প্রতি কর্ণপাত করেন নি এবং কল্যাণের বিপরীত কাজ করেছেন, আর আল্লাহ যা নির্ধারণ করেছিলেন, তাই হয়েছে। তিনি আরও বলেন, "হুসাইন যে ভুল করুক না কেন, তা তার নিজের জন্যই করেছেন!!... যাই হোক, ইয়াজিদের বিরুদ্ধে হুসাইনের ক্বিয়াম ও বিদ্রোহ হারাম ছিল!!... এ কাজ না করাই ছিল তার জন্য উত্তম। মদীনায় থাকা এবং মানুষের সমষ্টিগত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলাই উত্তম ও বেশি উপযুক্ত ছিল। খিলাফতের সীমানা লঙ্ঘন করা জায়েজ ছিল না। তবে, এতদ্বসত্ত্বেও আমরা হুসাইনের জন্য আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করি এবং তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করি!!"<ref>http://database-aryana-encyclopaedia.blogspot.com/২০১৩/۰۷/blog-post_14.html</ref>


সহীহ ও মুতাওয়াতির হাদিস অনুযায়ী, ইমাম হুসাইন (আ.) ও তার ভাই ইমাম হাসান (আ.) যখন জান্নাতের যুবক দের সর্দার তখন তাদের সম্পর্কে ভুল বা গুনাহর কথা কল্পনা করাও অসম্ভব। তাহলে, কেন আল-শাইখ বা অন্য ব্যক্তিদেরকে তাঁর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে!
সহীহ ও মুতাওয়াতির হাদিস অনুযায়ী, ইমাম হুসাইন (আ.) ও তার ভাই ইমাম হাসান (আ.) যখন জান্নাতের যুবক দের সর্দার তখন তাদের সম্পর্কে ভুল বা গুনাহর কথা কল্পনা করাও অসম্ভব। তাহলে, কেন আল-শাইখ বা অন্য ব্যক্তিদেরকে তাঁর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে!
trustworthy
১৫৯টি

সম্পাদনা