আহলে বাইত (আ.)-এর সাথে ওয়াহাবীদের শত্রুতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

৪২ নং লাইন: ৪২ নং লাইন:
ওয়াহাবীরা, রাসূলুল্লাহ’র (স.) আহলে বাইতের সাথে তাদের শত্রুতা প্রকাশ করতে গিয়ে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর হত্যাকারীদের প্রতি সমর্থনের উপর গুরুত্বারোপ করে তাদেরকে দৃঢ়চিত্তে  রক্ষা করছে।
ওয়াহাবীরা, রাসূলুল্লাহ’র (স.) আহলে বাইতের সাথে তাদের শত্রুতা প্রকাশ করতে গিয়ে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর হত্যাকারীদের প্রতি সমর্থনের উপর গুরুত্বারোপ করে তাদেরকে দৃঢ়চিত্তে  রক্ষা করছে।
* ইবনে তাইমিয়া তার গ্রন্থ "মিনহাজুস সুন্নাহ"-এর চতুর্থ খণ্ডে (৫৪৯-৫৭৫ পৃষ্ঠা) ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়াকে মুসলমানদের অন্যান্য খলিফাদের মাকামের সমপর্যায়ে স্থান দিয়েছেন এবং কারবালার মর্মান্তিক ঘটনায় ইয়াজিদকে নির্দোষ প্রমাণ করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন, যে ঘটনায় রাসূলুল্লাহর (স.) প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হুসাইন ইবনে আলী (আ.), তাঁর সন্তানগণ ও সঙ্গী-সাথীরা শহীদ হন এবং রাসূলের (স.) পবিত্র আহলে বাইত বন্দী হন।
* ইবনে তাইমিয়া তার গ্রন্থ "মিনহাজুস সুন্নাহ"-এর চতুর্থ খণ্ডে (৫৪৯-৫৭৫ পৃষ্ঠা) ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়াকে মুসলমানদের অন্যান্য খলিফাদের মাকামের সমপর্যায়ে স্থান দিয়েছেন এবং কারবালার মর্মান্তিক ঘটনায় ইয়াজিদকে নির্দোষ প্রমাণ করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন, যে ঘটনায় রাসূলুল্লাহর (স.) প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হুসাইন ইবনে আলী (আ.), তাঁর সন্তানগণ ও সঙ্গী-সাথীরা শহীদ হন এবং রাসূলের (স.) পবিত্র আহলে বাইত বন্দী হন।
* তিনি বলেন: "ধরে নেওয়া যাক যে ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া ফাসেক ও জালিম ছিলেন, তবে আল্লাহ তাকে তার কিছু ভালো কাজের জন্য ক্ষমা করবেন!" [১৪] এছাড়াও, তিনি ইমাম হুসাইন (আ.)-এর হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী উমর ইবনে সাদের পক্ষে সরাসরি সাফাই গেয়েছেন। তিনি বলেন: "সত্য যে, [[উমর ইবনে সাদ]] সেনাপতি ছিলেন এবং ইমাম হুসাইন (আ.)-কে হত্যা করেছিলেন, তবে তার পাপ ও অপরাধ ‘[[মুক্তার ইবনে আবি উবাইদা]]’র চেয়ে কম, বরং মুক্তারের পাপ ও অপরাধ উমর ইবনে সাদের চেয়েও বড়!" [১৫]
* তিনি বলেন: "ধরে নেওয়া যাক যে ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া ফাসেক ও জালিম ছিলেন, তবে আল্লাহ তাকে তার কিছু ভালো কাজের জন্য ক্ষমা করবেন!"<ref>ইবন তাইমিয়াহ, আহমদ বিন আবদুল হালিম, মাজমুউল ফাতাওয়া, বি-তা, বি-জা, খ: ৩, পৃ: ৪১৩; খ: ৪, পৃ: ৪৭৫।</ref> এছাড়াও, তিনি ইমাম হুসাইন (আ.)-এর হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী উমর ইবনে সাদের পক্ষে সরাসরি সাফাই গেয়েছেন। তিনি বলেন: "সত্য যে, [[উমর ইবনে সাদ]] সেনাপতি ছিলেন এবং ইমাম হুসাইন (আ.)-কে হত্যা করেছিলেন, তবে তার পাপ ও অপরাধ ‘[[মুক্তার ইবনে আবি উবাইদা]]’র চেয়ে কম, বরং মুক্তারের পাপ ও অপরাধ উমর ইবনে সাদের চেয়েও বড়!"<ref>মিনহাজুস সুন্নাহ, খ: ২, পৃ: ৭০।</ref>
* ওয়াহাবীরা, আহলে বাইতের শত্রুদের প্রশংসায় বিশেষ করে আলী (আ.)-এর অন্যতম শত্রু মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ান এবং তার পুত্র ইয়াজিদের প্রশংসায় "ফাযায়েলে মুয়াবিয়া ওয়া ফি ইয়াজিদ ওয়া আনাহু লা ইয়াসিব" নামে বই রচনা করেছেন। যারা মুয়াবিয়ার প্রশংসা করতে চায়, নাসাঈ তাদের জবাবে বলেন, রাসূল (স.)-এর পক্ষ থেকে মুয়াবিয়ার প্রতি বিখ্যাত অভিশাপ ব্যতীত তার সম্পর্কে কোনো ফজিলত আমার জানা নেই, যেখানে তিনি (স.) বলেছেন: «لا أشبع الله بطنه» (আল্লাহ তার পেট যেন কখনো পরিপূর্ণ না হয়)।[১৬]
* ওয়াহাবীরা, আহলে বাইতের শত্রুদের প্রশংসায় বিশেষ করে আলী (আ.)-এর অন্যতম শত্রু মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ান এবং তার পুত্র ইয়াজিদের প্রশংসায় "ফাযায়েলে মুয়াবিয়া ওয়া ফি ইয়াজিদ ওয়া আনাহু লা ইয়াসিব" নামে বই রচনা করেছেন। যারা মুয়াবিয়ার প্রশংসা করতে চায়, নাসাঈ তাদের জবাবে বলেন, রাসূল (স.)-এর পক্ষ থেকে মুয়াবিয়ার প্রতি বিখ্যাত অভিশাপ ব্যতীত তার সম্পর্কে কোনো ফজিলত আমার জানা নেই, যেখানে তিনি (স.) বলেছেন: «لا أشبع الله بطنه» (আল্লাহ তার পেট যেন কখনো পরিপূর্ণ না হয়)।<ref>আন-নাসাঈ, আহমদ বিন শুয়াইব, খাসায়িস ইমামুল মু’মিনিন (আ.), মাকতাবাতুন নিনাওয়ী আল-হাদিসাহ, পৃ: ২৩;
* ওয়াহাবী বা সালাফি পণ্ডিতরা, যেসব রেওয়ায়েতসমূহে আহলে বাইতের বিরোধীদের যেমন মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ান, উমর ইবনে সাদ, বনি উমাইয়া, [[বনি মারওয়ান]], আমর ইবনে আল-আস, ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া এবং অন্যান্যদের সম্পর্কে নিন্দা ও সমালোচনা করা হয়েছে, সেগুলিকে কোনো প্রমাণ বা যুক্তি ছাড়াই প্রত্যাখ্যান করে বলেন যে, এই ধরনের রেওয়ায়েতগুলোর সবই মিথ্যা ও বানোয়াট।[১৭]
আবু দাউদ, সুলাইমান, মুসনাদ আবু দাউদ, বৈরুত, দারুল হাদিস, পৃ: ৩৫৯।</ref>
* সমসাময়িক ওয়াহাবী মতবাদে ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়াকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। তার গুরুত্ব এতটাই যে, সৌদি আরবের শিক্ষা মন্ত্রণালয় "হাকাইক হাক্বায়েক্ব আন আমির আল-মুমিনিন ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া" শিরোনামে একটি বই প্রকাশ করেছে এবং বইটিকে সে দেশের সরকারি স্কুলগুলিতে পাঠ্য পুস্তক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে।[১৮]
* ওয়াহাবী বা সালাফি পণ্ডিতরা, যেসব রেওয়ায়েতসমূহে আহলে বাইতের বিরোধীদের যেমন মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ান, উমর ইবনে সাদ, বনি উমাইয়া, [[বনি মারওয়ান]], আমর ইবনে আল-আস, ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া এবং অন্যান্যদের সম্পর্কে নিন্দা ও সমালোচনা করা হয়েছে, সেগুলিকে কোনো প্রমাণ বা যুক্তি ছাড়াই প্রত্যাখ্যান করে বলেন যে, এই ধরনের রেওয়ায়েতগুলোর সবই মিথ্যা ও বানোয়াট।<ref>ইবনুল কাইয়্যিম, মোহাম্মদ বিন আবু বকর, নাকদুল মানকুল, বৈরুত, দারুল ক্বারী, চ: ১, ১৪১১ হি., পৃ: ১০৮।</ref>
* ইরাকের একটি মিডিয়া একটি চিত্র প্রকাশ করেছে যেখানে দেখা যায় যে, সৌদি আরবের ওয়াহাবী শাসকরা, মহানবী (স.) এবং তাঁর প্রিয় আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি তাদের গভীর বিদ্বেষের নিদর্শন স্বরূপ আল্লাহর শেষ রাসূল (সা.) এবং তাঁর পবিত্র আহলে বাইতের শত্রুদের নাম স্কুল, রাস্তা এবং অন্যান্য স্থানের নামকরণ করেছে। যেমন: ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া স্কুল, ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া সড়ক, আবু লাহাব স্কুল (যে আবু লাহাবের বিরুদ্ধে আল্লাহ কুরআনে সম্পূর্ণ একটি সুরা অবতীর্ণ করেছেন) এবং আবরাহা আল-হাবশির নামে রাস্তা (যে ব্যক্তি আমলফীলে কাবা ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল এবং আল্লাহ তাকে ও তার সৈন্যদের ভয়াবহ শাস্তি দিয়েছিলেন)।[১৯]
* সমসাময়িক ওয়াহাবী মতবাদে ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়াকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব। তার গুরুত্ব এতটাই যে, সৌদি আরবের শিক্ষা মন্ত্রণালয় "হাকাইক হাক্বায়েক্ব আন আমির আল-মুমিনিন ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া" শিরোনামে একটি বই প্রকাশ করেছে এবং বইটিকে সে দেশের সরকারি স্কুলগুলিতে পাঠ্য পুস্তক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে।<ref>তিজানী, সাইয়্যেদ মোহাম্মদ, আশ-শিয়াহ হুম আহলুস সুন্নাহ, পাদটীকা পৃ: ৯৪; আসআদ ওয়াহিদ আল-কাসিম, হাকিকাতুশ শিয়াহ আল-ইসনা আশারিয়্যাহ, পৃ: ৮২।</ref>
* ইরাকের একটি মিডিয়া একটি চিত্র প্রকাশ করেছে যেখানে দেখা যায় যে, সৌদি আরবের ওয়াহাবী শাসকরা, মহানবী (স.) এবং তাঁর প্রিয় আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি তাদের গভীর বিদ্বেষের নিদর্শন স্বরূপ আল্লাহর শেষ রাসূল (সা.) এবং তাঁর পবিত্র আহলে বাইতের শত্রুদের নাম স্কুল, রাস্তা এবং অন্যান্য স্থানের নামকরণ করেছে। যেমন: ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া স্কুল, ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া সড়ক, আবু লাহাব স্কুল (যে আবু লাহাবের বিরুদ্ধে আল্লাহ কুরআনে সম্পূর্ণ একটি সুরা অবতীর্ণ করেছেন) এবং আবরাহা আল-হাবশির নামে রাস্তা (যে ব্যক্তি আমলফীলে কাবা ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল এবং আল্লাহ তাকে ও তার সৈন্যদের ভয়াবহ শাস্তি দিয়েছিলেন)।<ref>খবরনামা জামেয়া মুদাররিসিন, সংখ্যা ১১৯৮, পৃ: ৬৫।</ref>


== تআহলে বাইতের (আ.) কবর ধ্বংস ==
== تআহলে বাইতের (আ.) কবর ধ্বংস ==
trustworthy
১৫৯টি

সম্পাদনা