trustworthy
১৫৯টি
সম্পাদনা
৪৯ নং লাইন: | ৪৯ নং লাইন: | ||
* ইরাকের একটি মিডিয়া একটি চিত্র প্রকাশ করেছে যেখানে দেখা যায় যে, সৌদি আরবের ওয়াহাবী শাসকরা, মহানবী (স.) এবং তাঁর প্রিয় আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি তাদের গভীর বিদ্বেষের নিদর্শন স্বরূপ আল্লাহর শেষ রাসূল (সা.) এবং তাঁর পবিত্র আহলে বাইতের শত্রুদের নাম স্কুল, রাস্তা এবং অন্যান্য স্থানের নামকরণ করেছে। যেমন: ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া স্কুল, ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া সড়ক, আবু লাহাব স্কুল (যে আবু লাহাবের বিরুদ্ধে আল্লাহ কুরআনে সম্পূর্ণ একটি সুরা অবতীর্ণ করেছেন) এবং আবরাহা আল-হাবশির নামে রাস্তা (যে ব্যক্তি আমলফীলে কাবা ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল এবং আল্লাহ তাকে ও তার সৈন্যদের ভয়াবহ শাস্তি দিয়েছিলেন)।<ref>খবরনামা জামেয়া মুদাররিসিন, সংখ্যা ১১৯৮, পৃ: ৬৫।</ref> | * ইরাকের একটি মিডিয়া একটি চিত্র প্রকাশ করেছে যেখানে দেখা যায় যে, সৌদি আরবের ওয়াহাবী শাসকরা, মহানবী (স.) এবং তাঁর প্রিয় আহলে বাইত (আ.)-এর প্রতি তাদের গভীর বিদ্বেষের নিদর্শন স্বরূপ আল্লাহর শেষ রাসূল (সা.) এবং তাঁর পবিত্র আহলে বাইতের শত্রুদের নাম স্কুল, রাস্তা এবং অন্যান্য স্থানের নামকরণ করেছে। যেমন: ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া স্কুল, ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া সড়ক, আবু লাহাব স্কুল (যে আবু লাহাবের বিরুদ্ধে আল্লাহ কুরআনে সম্পূর্ণ একটি সুরা অবতীর্ণ করেছেন) এবং আবরাহা আল-হাবশির নামে রাস্তা (যে ব্যক্তি আমলফীলে কাবা ধ্বংস করার চেষ্টা করেছিল এবং আল্লাহ তাকে ও তার সৈন্যদের ভয়াবহ শাস্তি দিয়েছিলেন)।<ref>খবরনামা জামেয়া মুদাররিসিন, সংখ্যা ১১৯৮, পৃ: ৬৫।</ref> | ||
== | == আহলে বাইতের (আ.) কবর ধ্বংস == | ||
ওয়াহীরা বাকি কবরস্থানে আহলে বাইতের কবরসমূহ ধ্বংস করে, [[কারবালা]] ও [[নাজাফে]] সামরিক আক্রমণ চালিয়ে ইমাম হুসাইন ও ইমাম আলী (আ.) এর মাজার ধ্বংস করে এবং আহলে বাইত প্রেমিক মুসলমানদের উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালানোর মাধ্যমে আহলে বাইতের (আ.) প্রতি তাদের শত্রুতা ও বিদ্বেষের বিষয়টি প্রমাণ করেছে। | ওয়াহীরা বাকি কবরস্থানে আহলে বাইতের কবরসমূহ ধ্বংস করে, [[কারবালা]] ও [[নাজাফে]] সামরিক আক্রমণ চালিয়ে ইমাম হুসাইন ও ইমাম আলী (আ.) এর মাজার ধ্বংস করে এবং আহলে বাইত প্রেমিক মুসলমানদের উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালানোর মাধ্যমে আহলে বাইতের (আ.) প্রতি তাদের শত্রুতা ও বিদ্বেষের বিষয়টি প্রমাণ করেছে। | ||
৫৫ নং লাইন: | ৫৫ নং লাইন: | ||
সৌদ ইবনে আবদুল আজিজের নেতৃত্বে ১২১৬ থেকে ১২২৫ হিজরি অবধি কারবালা ও নাজাফের দিকে তাদের ধারাবাহিক সামরিক অভিযানের কারণ হিসেবে আহলে বাইতের প্রতি ওয়াহাবীদের শত্রুতা ব্যতীত অন্য কী ব্যাখ্যা দিবে? | সৌদ ইবনে আবদুল আজিজের নেতৃত্বে ১২১৬ থেকে ১২২৫ হিজরি অবধি কারবালা ও নাজাফের দিকে তাদের ধারাবাহিক সামরিক অভিযানের কারণ হিসেবে আহলে বাইতের প্রতি ওয়াহাবীদের শত্রুতা ব্যতীত অন্য কী ব্যাখ্যা দিবে? | ||
১২৬২ হিজরীতে নাজদ ও আশেপাশের বেদুইন গোত্র, হেজাজ ও তিহামার অধিবাসীদের সমন্বয়ে গঠিত ওয়াহাবী বাহিনী, জিলকদ মাসে কারবালায় প্রবেশ করে। তারা শহরের রাস্তাঘাট, বাজার ও বাড়িতে ঢুকে অধিকাংশ লোককে হত্যা করে। অতঃপর তারা প্রচুর ধন-সম্পদ লুট করে শহর ছেড়ে চলে যায়। পরবর্তীতে তারা "আবিয়াদ" নামক এলাকায় জড়ো হয় এবং লুটকৃত সম্পদের এক-[[পঞ্চমাং]]শ (খুমস) সৌদ ইবনে আবদুল আজিজ নিজের জন্য রেখে বাকি অংশ সৈনিকদের মধ্যে, প্রতি পদাতিক সৈনিককে এক ভাগ করে এবং প্রতিটি অশ্বারোহী সৈনিককে দুই ভাগ করে বণ্টন করে দেওয়া হয়। | ১২৬২ হিজরীতে নাজদ ও আশেপাশের বেদুইন গোত্র, হেজাজ ও তিহামার অধিবাসীদের সমন্বয়ে গঠিত ওয়াহাবী বাহিনী, জিলকদ মাসে কারবালায় প্রবেশ করে। তারা শহরের রাস্তাঘাট, বাজার ও বাড়িতে ঢুকে অধিকাংশ লোককে হত্যা করে। অতঃপর তারা প্রচুর ধন-সম্পদ লুট করে শহর ছেড়ে চলে যায়। পরবর্তীতে তারা "আবিয়াদ" নামক এলাকায় জড়ো হয় এবং লুটকৃত সম্পদের এক-[[পঞ্চমাং]]শ (খুমস) সৌদ ইবনে আবদুল আজিজ নিজের জন্য রেখে বাকি অংশ সৈনিকদের মধ্যে, প্রতি পদাতিক সৈনিককে এক ভাগ করে এবং প্রতিটি অশ্বারোহী সৈনিককে দুই ভাগ করে বণ্টন করে দেওয়া হয়।<ref>সালেহ আল-উথাইমিন, আব্দুল্লাহ, তারিখুল মামলাকাতিস সৌদিয়্যাহ, রিয়াদ, উবাইকান, চ: ১৫, ১৪৩০ হি., খ: ১, পৃ: ৭৩।</ref> | ||
== তথ্যসূত্র == | == তথ্যসূত্র == |