বিষয়বস্তুতে চলুন

আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে উসিলা বানানো: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
("আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে উসিলা বানানো প্রশ্ন: নবি ও মাসুম (আ.)-গণকে উসিলা বানানো কি জায়েয? মুসলিমগণ আল্লাহ্ ব্যতীত অপর কাউকে উসিলা বানানোর বিষয়টি ঐ শর্তে সঠিক বলে মনে করে..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে উসিলা বানানো
{{question}}
 
নবি ও মাসুম (আ.)-গণকে উসিলা বানানো কি জায়েয?
প্রশ্ন:
{{question end}}


নবি ও মাসুম (আ.)-গণকে উসিলা বানানো কি জায়েয?
{{answer}}
মুসলিমগণ আল্লাহ্ ব্যতীত অপর কাউকে উসিলা বানানোর বিষয়টি ঐ শর্তে সঠিক বলে মনে করে যখন তা আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পথে হয়ে থাকে। এছাড়াও, সাধারণ মুসলমান ও মুসলিম আলেমগণের কর্মপদ্ধতিও এমন ছিল যে, তারা মাসুমীন (আ.)-কে উসিলা বানাতেন।
মুসলিমগণ আল্লাহ্ ব্যতীত অপর কাউকে উসিলা বানানোর বিষয়টি ঐ শর্তে সঠিক বলে মনে করে যখন তা আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পথে হয়ে থাকে। এছাড়াও, সাধারণ মুসলমান ও মুসলিম আলেমগণের কর্মপদ্ধতিও এমন ছিল যে, তারা মাসুমীন (আ.)-কে উসিলা বানাতেন।


আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কাউকে উসিলা বানানো বলতে এখানে নবি ও ইমাম (আলাইহিমুস সালাম)-গণকে উসিলা বানানোর কথা বোঝানো হয়েছে; আল্লাহর নৈকট্য লাভের নিমিত্তে করা এই ধরনের তাওয়াসসুল ও আবেদন সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসে বিশেষ তাগিদ প্রদান করা হয়েছে।
আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কাউকে উসিলা বানানো বলতে এখানে নবি ও ইমাম (আলাইহিমুস সালাম)-গণকে উসিলা বানানোর কথা বোঝানো হয়েছে; আল্লাহর নৈকট্য লাভের নিমিত্তে করা এই ধরনের তাওয়াসসুল ও আবেদন সম্পর্কে কুরআন ও হাদীসে বিশেষ তাগিদ প্রদান করা হয়েছে।
==উসিলা গ্রহণের আবশ্যকতা==
==উসিলা গ্রহণের আবশ্যকতা==
নির্দিষ্ট কোন ফলাফলে পৌঁছানোর লক্ষ্যে উসিলা তথা মাধ্যমের শরণাপন্ন হওয়া একটি অবধারিত বিষয়, এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। আধ্যাত্মিক উচ্চ মাকামে পৌঁছানোর লক্ষ্যে মহান আল্লাহ্ বিভিন্ন উসিলা নির্ধারণ করেছেন, মানুষ সেগুলোর শরণাপন্ন হয়ে সুউচ্চ মাকামে পৌঁছুতে পারে। এরই ভিত্তিতে পবিত্র কুরআনে এসেছে: ((یا اَیُّهَا الَّذینَ آمَنُوا اتَّقُوا اللّهَ وَ اتْبَغُوا اِلیهِ الوَسیلَه وَ جاهِدُوا فی سَبیلِهِ لَعَلَّکُم تُفلِحوُن)) ‘ওহে যারা ঈমান এনেছ! আল্লাহ্‌কে ভয়-শ্রদ্ধা করো, আর তাঁর দিকে উসিলা অন্বেষণ করো, আর তাঁর পথে জিহাদ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।’[মায়িদাহ : ৩৫)
নির্দিষ্ট কোন ফলাফলে পৌঁছানোর লক্ষ্যে উসিলা তথা মাধ্যমের শরণাপন্ন হওয়া একটি অবধারিত বিষয়, এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। আধ্যাত্মিক উচ্চ মাকামে পৌঁছানোর লক্ষ্যে মহান আল্লাহ্ বিভিন্ন উসিলা নির্ধারণ করেছেন, মানুষ সেগুলোর শরণাপন্ন হয়ে সুউচ্চ মাকামে পৌঁছুতে পারে। এরই ভিত্তিতে পবিত্র কুরআনে এসেছে: ((یا اَیُّهَا الَّذینَ آمَنُوا اتَّقُوا اللّهَ وَ اتْبَغُوا اِلیهِ الوَسیلَه وَ جاهِدُوا فی سَبیلِهِ لَعَلَّکُم تُفلِحوُن)) ‘ওহে যারা ঈমান এনেছ! আল্লাহ্‌কে ভয়-শ্রদ্ধা করো, আর তাঁর দিকে উসিলা অন্বেষণ করো, আর তাঁর পথে জিহাদ করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো।’[মায়িদাহ : ৩৫)


==কুরআন ও হাদীসে আল্লাহ ব্যতীত অপরকে উসিলা বানানো==
==কুরআন ও হাদীসে আল্লাহ ব্যতীত অপরকে উসিলা বানানো==
‘উসিলা’ হলো, যা কিছু মানুষকে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সহায়তা করে; এটা কখনো স্বয়ং মানুষের সাথে সম্পৃক্ত যেমন- তার জ্ঞান ও অবগতি, নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত, আল্লাহর পথে জিহাদ ইত্যাদি অথবা যাঁরা এ পথে মানুষের হাত ধরে উন্নতির পথে ধাবিত করেন তাঁদের সাথে সম্পৃক্ত। এ কারণে সূরা মায়িদার ৩৫নং আয়াতের তাফসীরে ইমাম আলী (আ.) বলেছেন: ((اَنَا وَسیلَتُهُ)) আমি হচ্ছে তার (প্রতি) উসিলা।[তাবাতাবাঈ, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন, তাফসীরুল মীযান, খ. ৫, পৃ. ৩৩৩ ] আরও বলেছেন: ((تَقَرَّبُوا اِلیهِ بِالاِمام)) ‘ইমামের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করো।’  
‘উসিলা’ হলো, যা কিছু মানুষকে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সহায়তা করে; এটা কখনো স্বয়ং মানুষের সাথে সম্পৃক্ত যেমন- তার জ্ঞান ও অবগতি, নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত, আল্লাহর পথে জিহাদ ইত্যাদি অথবা যাঁরা এ পথে মানুষের হাত ধরে উন্নতির পথে ধাবিত করেন তাঁদের সাথে সম্পৃক্ত। এ কারণে সূরা মায়িদার ৩৫নং আয়াতের তাফসীরে ইমাম আলী (আ.) বলেছেন: ((اَنَا وَسیلَتُهُ)) আমি হচ্ছে তার (প্রতি) উসিলা।[তাবাতাবাঈ, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন, তাফসীরুল মীযান, খ. ৫, পৃ. ৩৩৩ ] আরও বলেছেন: ((تَقَرَّبُوا اِلیهِ بِالاِمام)) ‘ইমামের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করো।’  


২৮ নং লাইন: ৩১ নং লাইন:
==আধ্যাত্মিক সম্মানের অধিকারী ব্যক্তিদেরকে উসিলা বানানো==
==আধ্যাত্মিক সম্মানের অধিকারী ব্যক্তিদেরকে উসিলা বানানো==
মহান আল্লাহর নিকট যে সকল মু’মিন ও সালেহ (সৎকর্মশীর্ল) ব্যক্তিগণ বিশেষ সম্মান ও মাকামের অধিকারী এবং দুনিয়াতে উত্তমরূপে আধ্যাত্মিকতায় পূর্ণ জীবন-যাপন করেছেন, মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জন এবং পার্থিব প্রয়োজন মেটাতে আমরা তাদেরকে আমাদের এবং আল্লাহর মাঝে উসিলা বানাই; মহান আল্লাহকে তাঁদের পবিত্র রুহগুলোর উসিলায় কসম দেই যাতে ঐশী রহমত ও মাগফিরাতের শামিল হতে পারি।[হুসাইনি নাসাব, সাইয়্যেদ রেযা, শিয়া পাসুখ মি দেহাদ, দ্বিতীয় সংস্করণ, পৃ. ১৪৪।]
মহান আল্লাহর নিকট যে সকল মু’মিন ও সালেহ (সৎকর্মশীর্ল) ব্যক্তিগণ বিশেষ সম্মান ও মাকামের অধিকারী এবং দুনিয়াতে উত্তমরূপে আধ্যাত্মিকতায় পূর্ণ জীবন-যাপন করেছেন, মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জন এবং পার্থিব প্রয়োজন মেটাতে আমরা তাদেরকে আমাদের এবং আল্লাহর মাঝে উসিলা বানাই; মহান আল্লাহকে তাঁদের পবিত্র রুহগুলোর উসিলায় কসম দেই যাতে ঐশী রহমত ও মাগফিরাতের শামিল হতে পারি।[হুসাইনি নাসাব, সাইয়্যেদ রেযা, শিয়া পাসুখ মি দেহাদ, দ্বিতীয় সংস্করণ, পৃ. ১৪৪।]
{{answer end}}
[[fa:توسل به غیر خداوند]]