বিষয়বস্তুতে চলুন

আহলে সুন্নতের ভাষায় হযরত আলীর (আ.) ফযিলত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
("'''প্রশ্ন''': ''': আহলে সুন্নতের দৃষ্টিকোণ থেকে হযরত আলীর (আ.) ফজিলত বর্ণনা করুন''' হযরত আলীর (আ.) ফযিলত; শিয়া ও সুন্নি সূত্রসমূহে বর্ণিত হয়েছে। আহলে সুন্নতের মতে উল্লেখযোগ্য সংখ..." দিয়ে পাতা তৈরি)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
'''প্রশ্ন''':
{{question}}
''': আহলে সুন্নতের দৃষ্টিকোণ থেকে হযরত আলীর (আ.) ফজিলত বর্ণনা করুন'''
{{question end}}


''': আহলে সুন্নতের দৃষ্টিকোণ থেকে হযরত আলীর (আ.) ফজিলত বর্ণনা করুন'''
{{answer}}


হযরত আলীর (আ.) ফযিলত; শিয়া ও সুন্নি সূত্রসমূহে বর্ণিত হয়েছে।  আহলে সুন্নতের মতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আয়াতের শানে নুযুল হযরত আলীর সাথে সম্পৃক্ত, এছাড়া তারা পবিত্র কুরআনে ‘সালেহুল মু’মিনীন’, ‘সাদিকীন’ ও ‘খাইরুল বারিয়াহ’ ইত্যাদি পরিভাষার বাস্তব দৃষ্টান্ত হিসেবে হযরত ইমাম আলীর (আ.) নাম উল্লেখ করেছেন। নির্ভরযোগ্য বিভিন্ন সুন্নি সূত্রে আল্লাহর রাসূল (স.) থেকে হযরত আলীর (আ.) শানে বহু সংখ্যক হাদীস বর্ণিত হয়েছে যেগুলোতে ‘তিনি সর্বদা সত্যের সাথে’ এবং ‘কিয়ামতের দিন জনগণের জন্য তিনি হজ্জাত স্বরূপ’ বলে পরিচয় করানো হয়েছে।
হযরত আলীর (আ.) ফযিলত; শিয়া ও সুন্নি সূত্রসমূহে বর্ণিত হয়েছে।  আহলে সুন্নতের মতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আয়াতের শানে নুযুল হযরত আলীর সাথে সম্পৃক্ত, এছাড়া তারা পবিত্র কুরআনে ‘সালেহুল মু’মিনীন’, ‘সাদিকীন’ ও ‘খাইরুল বারিয়াহ’ ইত্যাদি পরিভাষার বাস্তব দৃষ্টান্ত হিসেবে হযরত ইমাম আলীর (আ.) নাম উল্লেখ করেছেন। নির্ভরযোগ্য বিভিন্ন সুন্নি সূত্রে আল্লাহর রাসূল (স.) থেকে হযরত আলীর (আ.) শানে বহু সংখ্যক হাদীস বর্ণিত হয়েছে যেগুলোতে ‘তিনি সর্বদা সত্যের সাথে’ এবং ‘কিয়ামতের দিন জনগণের জন্য তিনি হজ্জাত স্বরূপ’ বলে পরিচয় করানো হয়েছে।


সুন্নি মুফাসসিরদের দৃষ্টিতে পবিত্র কুরআনে ইমাম আলীর (আ.) ফজিলত
==সুন্নি মুফাসসিরদের দৃষ্টিতে পবিত্র কুরআনে ইমাম আলীর (আ.) ফজিলত==


সুন্নি মুফাসসিরগণের মতে, পবিত্র কুরআনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আয়াতে ইমাম আলীর (আ.) ফজিলত বর্ণিত হয়েছে বলে মনে করেন:  
সুন্নি মুফাসসিরগণের মতে, পবিত্র কুরআনের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আয়াতে ইমাম আলীর (আ.) ফজিলত বর্ণিত হয়েছে বলে মনে করেন:  
১৪ নং লাইন: ১৬ নং লাইন:
* মহানবি (সা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে, হযরত আলীকে (আ.) ‘যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারাই সৃষ্টির সেরা।’[৭] শীর্ষক আয়াতের বাস্তব দৃষ্টান্ত বলে আখ্যায়িত করেছেন।[শাওয়াহেদুত তানযীল, খণ্ড ২, পৃ. ৪৫৯।]  
* মহানবি (সা.) থেকে বর্ণিত হাদীসে, হযরত আলীকে (আ.) ‘যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তারাই সৃষ্টির সেরা।’[৭] শীর্ষক আয়াতের বাস্তব দৃষ্টান্ত বলে আখ্যায়িত করেছেন।[শাওয়াহেদুত তানযীল, খণ্ড ২, পৃ. ৪৫৯।]  
* সূরা আ’রাফের ১৮১নং আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর মহানবি (স.) হেদায়েতপ্রাপ্ত দল হিসেবে আলী (আ.) ও তার অনুসারীগণকে পরিচয় করিয়েছেন।[সুলায়মান ইবনে ইব্রাহিম কান্দুযী হানাফী, ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ, খণ্ড ১, পৃ. ১২৮, কোম, শারিফ রাযি প্রকাশনী, ১৪১৩ হিজরী।]
* সূরা আ’রাফের ১৮১নং আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর মহানবি (স.) হেদায়েতপ্রাপ্ত দল হিসেবে আলী (আ.) ও তার অনুসারীগণকে পরিচয় করিয়েছেন।[সুলায়মান ইবনে ইব্রাহিম কান্দুযী হানাফী, ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ, খণ্ড ১, পৃ. ১২৮, কোম, শারিফ রাযি প্রকাশনী, ১৪১৩ হিজরী।]
* ((وَالسَّابِقُونَ السَّابِقُونَ، أُولئِک الْمُقَرَّبُونَ)) ‘আর অগ্রগামীগণ তো অগ্রগামী, তারাই নৈকট্যপ্রাপ্ত, নি’মাতে পরিপূর্ণ জান্নাতে’[ওয়াকিয়াহ : ১০-১২] -এ আয়াতগুলো অবতীর্ণ হওয়ার পর মহানবি (সা.) জীবরাইল (আ.) থেকে বর্ণনা করেন যে, এখানে আলী ও তার শিয়া (অনুসারী)-দেরকে বোঝানো হয়েছে, যারা বেহেশতে প্রবেশের ক্ষেত্রে অগ্রগামী হবে এবং মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করবে।[সিবতে ইবনে জাওযি, তাযকিরাতুল খাওয়াছ, পৃ. ১৭, ইনতেশারাতে নাইনাভা, তেহরান।]
* {{inline quran|وَالسَّابِقُونَ السَّابِقُونَ، أُولئِک الْمُقَرَّبُونَ|translation= ‘আর অগ্রগামীগণ তো অগ্রগামী, তারাই নৈকট্যপ্রাপ্ত, নি’মাতে পরিপূর্ণ জান্নাতে’।}}[ওয়াকিয়াহ : ১০-১২] -এ আয়াতগুলো অবতীর্ণ হওয়ার পর মহানবি (সা.) জীবরাইল (আ.) থেকে বর্ণনা করেন যে, এখানে আলী ও তার শিয়া (অনুসারী)-দেরকে বোঝানো হয়েছে, যারা বেহেশতে প্রবেশের ক্ষেত্রে অগ্রগামী হবে এবং মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করবে।[সিবতে ইবনে জাওযি, তাযকিরাতুল খাওয়াছ, পৃ. ১৭, ইনতেশারাতে নাইনাভা, তেহরান।]
* ইকমালে দ্বীনের আয়াত, লাইলাতুল মাবিতের আয়াত, রুকুতে যাকাত প্রদানের আয়াত, মুবাহালা’র আয়াত ইত্যাদি ইমাম আলীর (আ.) শানে নাযিল হয়েছে।
* ইকমালে দ্বীনের আয়াত, লাইলাতুল মাবিতের আয়াত, রুকুতে যাকাত প্রদানের আয়াত, মুবাহালা’র আয়াত ইত্যাদি ইমাম আলীর (আ.) শানে নাযিল হয়েছে।


ইমাম আলীর (আ.) ফজিলতে বর্ণিত রেওয়ায়েতসমূহ
==ইমাম আলীর (আ.) ফজিলতে বর্ণিত রেওয়ায়েতসমূহ==
আহলে সুন্নাতের বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য গ্রন্থে হযরত ইমাম আলীর (আ.) শানে বহু সংখ্যক রেওয়ায়েত উল্লেখিত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি এখানে উল্লেখ করা হল:  
আহলে সুন্নাতের বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য গ্রন্থে হযরত ইমাম আলীর (আ.) শানে বহু সংখ্যক রেওয়ায়েত উল্লেখিত হয়েছে, সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি এখানে উল্লেখ করা হল:  
* মহানবি (স.) বলেছেন: ‘আমার সাথে আলীর সম্পর্ক হল; যেমন শরীরের সাথে মাথার সম্পর্ক’।[আবু বাকার আহমাদ ইবনে আলী আল-খাতিব বাগদাদী, খণ্ড ৭, পৃ. ১২, তারিখে বাগদাদ বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ।]
* মহানবি (স.) বলেছেন: ‘আমার সাথে আলীর সম্পর্ক হল; যেমন শরীরের সাথে মাথার সম্পর্ক’।[আবু বাকার আহমাদ ইবনে আলী আল-খাতিব বাগদাদী, খণ্ড ৭, পৃ. ১২, তারিখে বাগদাদ বৈরুত, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যাহ।]
২৬ নং লাইন: ২৮ নং লাইন:
* মহানবি (স.) থেকে ইবনে আব্বাস বর্ণনা করেন তিনি বলেছেন: ‘আলীর ভালবাসা গুনাহসমূহকে মুছে ফেলে যেভাবে আগুন কাঠকে ধ্বংস করে দেয়।[তারিখে বাগদাদ, খণ্ড ৪, পৃ. ১৯৫]
* মহানবি (স.) থেকে ইবনে আব্বাস বর্ণনা করেন তিনি বলেছেন: ‘আলীর ভালবাসা গুনাহসমূহকে মুছে ফেলে যেভাবে আগুন কাঠকে ধ্বংস করে দেয়।[তারিখে বাগদাদ, খণ্ড ৪, পৃ. ১৯৫]
* মহানবি (স.) বলেছেন: আলী হল হকের (সত্য) সাথে আর হক হল আলীর সাথে। হাউযে কাউসারে আমার সাথে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত এরা পরস্পর থেকে আলাদা হবে না।[ইবনে আবি বাকর হাইসামী, মাজমাউয যাওয়ায়েদ, খণ্ড ৯, পৃ. ১৩৪, বৈরুত, দারুল কুতুবুল আরাবি, ১৪০২ হিজরী।]
* মহানবি (স.) বলেছেন: আলী হল হকের (সত্য) সাথে আর হক হল আলীর সাথে। হাউযে কাউসারে আমার সাথে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত এরা পরস্পর থেকে আলাদা হবে না।[ইবনে আবি বাকর হাইসামী, মাজমাউয যাওয়ায়েদ, খণ্ড ৯, পৃ. ১৩৪, বৈরুত, দারুল কুতুবুল আরাবি, ১৪০২ হিজরী।]
 
{{answer end}}
তথ্যসূত্র
[[fa:فضایل امام علی(ع) در کلام اهل‌سنت]]
১৩৬টি

সম্পাদনা