বিষয়বস্তুতে চলুন

আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকে উসিলা বানানো: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
১৬ নং লাইন: ১৬ নং লাইন:
‘উসিলা’ হলো, যা কিছু মানুষকে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সহায়তা করে; এটা কখনো স্বয়ং মানুষের সাথে সম্পৃক্ত যেমন- তার জ্ঞান ও অবগতি, নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত, আল্লাহর পথে জিহাদ ইত্যাদি অথবা যাঁরা এ পথে মানুষের হাত ধরে উন্নতির পথে ধাবিত করেন তাঁদের সাথে সম্পৃক্ত। এ কারণে সূরা মায়িদার ৩৫নং আয়াতের তাফসীরে ইমাম আলী (আ.) বলেছেন: ((اَنَا وَسیلَتُهُ)) আমি হচ্ছে তার (প্রতি) উসিলা।[তাবাতাবাঈ, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন, তাফসীরুল মীযান, খ. ৫, পৃ. ৩৩৩ ] আরও বলেছেন: ((تَقَرَّبُوا اِلیهِ بِالاِمام)) ‘ইমামের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করো।’  
‘উসিলা’ হলো, যা কিছু মানুষকে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সহায়তা করে; এটা কখনো স্বয়ং মানুষের সাথে সম্পৃক্ত যেমন- তার জ্ঞান ও অবগতি, নামাজ, রোজা, হজ্জ, যাকাত, আল্লাহর পথে জিহাদ ইত্যাদি অথবা যাঁরা এ পথে মানুষের হাত ধরে উন্নতির পথে ধাবিত করেন তাঁদের সাথে সম্পৃক্ত। এ কারণে সূরা মায়িদার ৩৫নং আয়াতের তাফসীরে ইমাম আলী (আ.) বলেছেন: ((اَنَا وَسیلَتُهُ)) আমি হচ্ছে তার (প্রতি) উসিলা।[তাবাতাবাঈ, সাইয়্যেদ মুহাম্মাদ হুসাইন, তাফসীরুল মীযান, খ. ৫, পৃ. ৩৩৩ ] আরও বলেছেন: ((تَقَرَّبُوا اِلیهِ بِالاِمام)) ‘ইমামের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করো।’  


পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতেও পূর্ববর্তী নবিগণ (আ.)-এর তাওয়াসসুলের দৃষ্টান্ত উল্লেখিত হয়েছে; যেমন: হযরত আদম (আ.) আহলে বাইত (আ.)-কে উসিলা বানিয়েছিলেন (বাকারাহ : ৩৭), হযরত ইয়াকুব (আ.)-এর প্রতি হযরত ইউসুফ (আ.)-এর ভ্রাতাগণের তাওয়াসসুল; হযরত ইউসুফ (আ.)-এর ভ্রাতাগণ নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে পিতার কাছে এসে তাদের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ইস্তাগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করার অনুরোধ করলে, জবাবে হযরত ইয়াকুবও (আ.) তাদের জন্য ইস্তিগফার করার প্রতিশ্রুতি দিলেন: {{inline quran|قَالُوا يَا أَبَانَا اسْتَغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا إِنَّا كُنَّا خَاطِئِينَ قَالَ سَوْفَ أَسْتَغْفِرُ لَكُمْ رَبِّي ۖ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ|translation=‘তারা (ইয়াকুবের সন্তানরা) বললো: হে আমাদের পিতা! আমাদের গুনাহসমূহের মাফির জন্য প্রার্থনা করুন, নিঃসন্দেহে আমরাই দোষী। তিনি (ইয়াকুব) বললেন: আমি শিঘ্রই আমার প্রতিপালকের নিকট তোমাদের জন্য ক্ষমা চাইবো, নিশ্চয়ই তিনি অতি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।|sura=ইউসুফ|verse=৯৭ ও ৯৮।}}
পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতেও পূর্ববর্তী নবিগণ (আ.)-এর তাওয়াসসুলের দৃষ্টান্ত উল্লেখিত হয়েছে; যেমন: হযরত আদম (আ.) আহলে বাইত (আ.)-কে উসিলা বানিয়েছিলেন (বাকারাহ : ৩৭), হযরত ইয়াকুব (আ.)-এর প্রতি হযরত ইউসুফ (আ.)-এর ভ্রাতাগণের তাওয়াসসুল; হযরত ইউসুফ (আ.)-এর ভ্রাতাগণ নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে পিতার কাছে এসে তাদের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে ইস্তাগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করার অনুরোধ করলে, জবাবে হযরত ইয়াকুবও (আ.) তাদের জন্য ইস্তিগফার করার প্রতিশ্রুতি দিলেন: {{inline quran|قَالُوا يَا أَبَانَا اسْتَغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا إِنَّا كُنَّا خَاطِئِينَ قَالَ سَوْفَ أَسْتَغْفِرُ لَكُمْ رَبِّي ۖ إِنَّهُ هُوَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ|translation=তারা (ইয়াকুবের সন্তানরা) বললো: হে আমাদের পিতা! আমাদের গুনাহসমূহের মাফির জন্য প্রার্থনা করুন, নিঃসন্দেহে আমরাই দোষী। তিনি (ইয়াকুব) বললেন: আমি শিঘ্রই আমার প্রতিপালকের নিকট তোমাদের জন্য ক্ষমা চাইবো, নিশ্চয়ই তিনি অতি ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালু।|sura=ইউসুফ|verse=৯৭ ও ৯৮।}}


নবি ও ইমাম (আ.)-গণের প্রতি তাওয়াসসুল
নবি ও ইমাম (আ.)-গণের প্রতি তাওয়াসসুল